তেল-গ্যাসের বিশাল মজুতের সন্ধান, পাল্টে যাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি!

পাকিস্তানের জলসীমায়  তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডারের সন্ধান মিলেছে। এর পরিমাণ এত বেশি যে, যদি তা উত্তোলন করতে পারে তাহলে পাকিস্তানের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। বন্ধুপ্রতিম একটি দেশের সহযোগিতায় তিন বছর ধরে অনুসন্ধান কাজ চালানোর পর পর ওই বিপুল মজুতের সন্ধান মিলেছে বলে পাকিস্তানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে ডন নিউজ টিভি।  ভৌগোলিক জরিপে পাকিস্তান ওই বিপুল সম্পদের মজুতের স্থানটি শনাক্ত করে। পাকিস্তানি জলসীমায় পাওয়া এ সম্পদের কথা এরই মধ্যে সরকারকে অবহিত করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ডনকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু। পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা এই সুবিধা পাওয়ার প্রচেষ্টাকে ‘ব্লু ওয়াটার ইকোনমি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই তেল ও গ্যাস উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তা পর্যালোচনাও করা হচ্ছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে সেখান থেকে এই খনিজ সম্পদ উত্তোলন কাজ শুরু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সেখানে কূপ খনন এবং প্রকৃতপক্ষে তেল পেতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। এই ‘ব্লু ওয়াটার ইকোনমি’ শুধু তেল ও গ্যাসের চেয়ে বেশি কিছু হতে পারে। সমুদ্রে এই বিশাল ভাণ্ডার থেকে এর পাশাপাশি বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ পদার্থ ও উপাদান পাওয়া যাবে বলে তারা আশা করছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে সক্রিয় হলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত পাল্টে যাবে। কিছু পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে এই অনুসন্ধানে যে তেল-গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মিলেছে তা হতে যাচ্ছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ তেল ও গ্যাসের মজুদাগার। বর্তমানে প্রায় ৩৪০ কোটি ব্যারেলের তেল রিজার্ভ হিসেবে ভেনিজুয়েলাকে নেতৃস্থানীয় হিসেবে ভাবা হয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে বেশি অব্যবহৃত শেল তেলের মজুত আছে। শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে আছে সৌদি আরব, ইরান, কানাডা ও ইরাক। ডন নিউজ টিভিকে অয়েল অ্যান্ড গ্যাস রেগুলেটরি অথরিটির (ওগরা) সাবেক সদস্য মুহাম্মদ আরিফ বলেন, যদিও দেশকে আশাবাদী হওয়া উচিত, তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী মজুতের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। এই জ্বালানি দিয়ে কি দেশের মোট চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে মজুদাগারের আকার এবং সেখান থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের হারের ওপর। যদি এটা গ্যাসের মজুদাগার হয়, তাহলে পাকিস্তান তার আমদানি করা এলএনজি বাদ দিতে পারে। অন্যদিকে যদি এটা হয় তেলের মজুদাগার তাহলে আমরা আমদানি করা তেল বাদ দেবো। তবে ড্রিলিং প্রক্রিয়া বা খনন কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এই উত্তোলন কাজ শুরু করতে বিপুল পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। অফসোর লোকেশন থেকে এসব আহরণ করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.