গাজীপুর-আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলেছে
কঠোর নিরাপত্তায় গাজীপুর ও আশুলিয়া এলাকায় কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকা তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা, শ্রমিক নেতা এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের আশ্বাস পাওয়ায় গতকাল সকালে নির্ধারিত সময়ে বেশির ভাগ কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। এর মধ্যে আবারো কয়েকটি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্প পুলিশ জানায়, শিল্পাঞ্চলের বেশির ভাগ কারখানা চালু থাকলেও বন্ধ রয়েছে নিউ এইজ, নাসা, অনন্ত ও শারমিনসহ কয়েকটি কারখানা। এগুলোতে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে সেসব কারখানায় কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। তবে এখন পর্যন্ত কতোগুলো কারখানা বন্ধ রয়েছে বা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনে যেসব এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে, সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টসের সামনে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। আশুলিয়ার বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। পাশাপাশি সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা।
এদিকে মালিকপক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়া নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় বেশকিছু কারখানা আগে থেকেই বন্ধ আছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ১৭টি কারখানার শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে গেছে। আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা চলছে, অনন্ত অ্যাপারেলস, আল-মুসলিমসহ বেশ কয়েকটি কারখানার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো কারখানায় হামলা-ভাঙচুর কিংবা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করার পাশাপাশি কাজ না করে যার যার মতো কারখানা থেকে বেরিয়ে চলে গেছেন। এদিকে শ্রমিকদের বাসায় থাকার অনুরোধ জানিয়ে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার ইপিক গ্রুপের পার্ল গার্মেন্টস কোম্পানি লিমিটেড কারখানাটি এক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আশুলিয়ায় নরসিংহপুর এলাকার হামীম গ্রুপের কার্যক্রম চলমান থাকলেও বন্ধ রয়েছে নিউ এইজ। নাসা গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানায় এলেও কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে গেছে। অনন্ত কারখানার শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে অবস্থান করলেও কাজ করছে না। আল-মুসলিমেরও একই অবস্থা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আল-মুসলিম গ্রুপের কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, সকালে কারখানায় প্রবেশের পর মালিকপক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়া নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় ১১টার পর আমরা কারখানা থেকে চলে যাই। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শান্তিপূর্ণভাবে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করলেও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে কর্তৃপক্ষকে জানান। এ সময় মালিকপক্ষের সঙ্গে দাবি-দাওয়া নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় অনন্ত, আল-মুসলিমসহ বেশকিছু কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে গেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশঙ্কায় আশপাশের আরও কয়েকটি কারখানায় ছুটি দেয়া হয়। সব মিলিয়ে দুপুর পর্যন্ত ১৭টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার সামনে বিশৃঙ্খলার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত কারখানা সংলগ্ন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে ও কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
এদিকে গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে খুলে দেয়া হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানাসহ সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান। শনিবার সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করেছেন। কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ কারখানায় এসেছেন। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। টহলে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুরে বেশকিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা। কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। তারা বলছেন, হাতেগোনা কয়েকটি কারখানা ছাড়া প্রকৃত শ্রমিকরা এ সময়ে তেমন কোনো আন্দোলনে নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহিরাগতরা সমস্যার সৃষ্টি করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চান তারা।
মালিকপক্ষ বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর করে শিল্প খাতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি ও ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, সব কারখানাই খোলা রয়েছে। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় প্রায় ৯শ’ শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ডবাজার, ভোগরা, লক্ষীপুরা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈরসহ শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলা হয়। সবার প্রত্যাশা উৎপাদন কাজ স্বাভাবিক রেখে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে এই খাতকে সামনে রেখে।
এদিকে গাজীপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে খুলে দেয়া হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানাসহ সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান। শনিবার সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করেছেন। কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ কারখানায় এসেছেন। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। টহলে রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুরে বেশকিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। পরে বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা। কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। তারা বলছেন, হাতেগোনা কয়েকটি কারখানা ছাড়া প্রকৃত শ্রমিকরা এ সময়ে তেমন কোনো আন্দোলনে নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহিরাগতরা সমস্যার সৃষ্টি করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চান তারা।
মালিকপক্ষ বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর করে শিল্প খাতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি ও ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, সব কারখানাই খোলা রয়েছে। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় প্রায় ৯শ’ শিল্প পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ডবাজার, ভোগরা, লক্ষীপুরা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, কালিয়াকৈরসহ শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলো খোলা হয়। সবার প্রত্যাশা উৎপাদন কাজ স্বাভাবিক রেখে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে এই খাতকে সামনে রেখে।
No comments