এখনো অধরা নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতারা

নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি মোরশেদসহ আ’লীগের ২৫৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৩ মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,  নোয়াখালীর সেনবাগে ২০১৮ সালে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, বিএনপি’র এক কর্মীর বাড়িতে হামলা এবং গত ৩রা আগস্ট বিএনপি’র এক কর্মীর দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় আসামি করা হয়েছে নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৫৭ জনকে। সেনবাগ থানায় এ সব মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি শওকত হোসেন, সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাছের, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম জাকারিয়া আল মামুনের নাম রয়েছে।

সেনবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩টি মামলার মধ্যে একটি করা হয়েছে ২০১৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সেনবাগ উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে। বিএনপি’র কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মো. ইলিয়াছ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম দিপুসহ ৩০ জনের নামোল্লেখ করে ৪৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৩শে জানুয়ারি উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের শ্রীপদ্দি গ্রামের বিএনপিকর্মী মিজানুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোরশেদ আলমসহ ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৪৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উপজেলার ছমির মুন্সীরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও বিএনপিকর্মী ইউছুফ আলীর দোকানে গত ৩রা আগস্ট হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩৮ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৬৫ জনকে। শনিবার মামলার বিষয়টি সেনবাগ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩ মামলার কোনো আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.