বাঁচার লড়াই: বন্যায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু
ফেনীতে এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে কাজ করছেন। তবে গতকাল বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানকার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সোমবার ফেনীর মুহুরী-কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে নিম্ন্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রবল স্রোতে বাঁধের অসংখ্য স্থান ভেঙে পানি প্রবেশ করতে থাকে লোকালয়ে। উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের অলকা, নোয়াপুর, ধনিকুন্ডা, মির্জানগর ইউনিয়নের শুভার বাজার ও বক্সমাহমদু ইউনিয়নের সাতকুচিয়া পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে পাশের ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও সদরের সবকটি গ্রাম তলিয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষের আকুতিতে ভারী হয়ে উঠে সেখানকার বাতাস। এদিকে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা আটকেপড়া মানুষকে পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণ। তবে এসব এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট রয়েছে খাবারেরও। অন্যদিকে জেলার অন্য তিন উপজেলায় পানি বাড়ছে। সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞার অধিকাংশ এলাকায় গতকাল পানি বাড়তে থাকে। এ সব এলাকায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিশেষ করে এসব এলাকায় খাদ্য ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গোটা বুড়িচং উপজেলা-ই তলিয়ে গেছে। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষ বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সংকটের কারণে দিশাহারা। এ ছাড়াও চৌদ্দগ্রামের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি। সেখানেও খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা দুর্গত মানুষদের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তীব্র বেগে পানি ঢুকছে। এতে দ্রুতই পাশের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বুড়বুড়িয়া এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট ভেঙে গেছে। নদীর পানি না কমলে এই বাঁধ মেরামত করা সম্ভব না। নদীর পানি যতদিন না কমবে ততদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে থাকবে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত গোমতীর পানি বিপদসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, তারা গোমতীর এত পানি আগে কখনো দেখেননি। শিমাইলখাড়া গ্রামের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, পানি হু হু করে ঢুকছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা কলেজে আশ্রয়কেন্দ্র আছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে নিরাপদে থাকতে বলা হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন কুমিল্লা নগরবাসীও। বাসিন্দাদের শঙ্কা, গোমতীর বাঁধ ভাঙলেই তলিয়ে যাবে গোটা শহর। জেলার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, লাকসামসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার বেশির ভাগ গ্রাম এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। তবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার এসব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম জেলা। এরমধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যার পানিতে ডুবে আছে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে হাজার হাজার একর রোপা আমন, পুকুর, মাছের প্রজেক্ট, পোল্ট্রি ফার্ম। যদিও শুক্রবার বৃষ্টি কম থাকায় পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি ঘটেছে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে ৯টি উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়িতে ২০টি ইউনিয়নে ১৯ হাজার ৫৮০ পরিবারের ১ লাখ ২ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যাকবলিত খাগড়াছড়ির মানুষও আছেন কষ্টে। জেলার অনেক এলাকায় দুর্গত মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছেন বিভিন্ন বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবীরা। পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না, ততদিন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ত্রাণ ও বিভিন্ন ধরনের মানবসেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ফরহাদাবাদ ও ধলই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে। হালদা নদীর পানির গতির তীব্রতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ নাজিরহাট নতুন ব্রিজের পশ্চিম পাশ ছালামত দফাদারের বাড়ি সংলগ্ন হালদার প্রতিরক্ষাকারী এ বাঁধটি ভেঙে যায়। ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই নদীর পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। দু’তিন ঘণ্টার মধ্যে ফরহাদাবাদ ও ধলই ইউনিয়নের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুকুর তলিয়ে যায়।
এদিকে পানিবন্দি মানুষের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বন্যাকবলিত জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার থেকে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারসহ সারা দেশে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মনু নদীর বাঁধ ভেঙে ও বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে রাজনগরের কামারচাক, মনসুরনগর, টেংরা, রাজনগর ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে হৃদয় (১৯) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে দীর্ঘ ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রাজনগর বাজারে বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও বন্যা দুর্গতদের জন্য গ্রাম পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বন্যা আক্রান্তরা।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে মো. আদিব (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পহরচাঁদা বিবিরখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাবিব ওই এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস শুক্কুর জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিন শিশু একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে পহরচাঁদা বাজারের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যায় তিন শিশু। দুই শিশু সাঁতরিয়ে বেঁচে গেলেও হাবিব স্রোতে ভেসে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। অপরদিকে, বেশ কয়েকদিন ধরে অবিরাম বর্ষণে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গায়নাকাটা গ্রামে পাহাড় ধসে সুফি বেগম, রায়খান, সৈয়দ হোসন, নুরুল আলম, মো. রশিদ, ছৈয়দ বলীরসহ অন্তত ১৫টি বসতঘর ভেঙে গেছে। চকরিয়ায় টানা বৃষ্টিতে অন্তত ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার দুপুুরের পর সূর্যের আলো দেখা যায়। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বানভাসি মানুষের স্বস্তি মিলেছে। তবে ভারতের ত্রিপুরা থেকে পানি নামা অব্যাহত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রের তথ্য, গতকাল ৬ সে. মি. পানি কমেছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এরআগে, গত মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু। পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসে পাহাড়ি ঢল। পানির তোড়ে সীমান্ত এলাকায় হাওড়া নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। ধসে পড়ে দুইটি সেতু। আকস্মিক বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৪৭টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানি কমতে থাকায় কিছু পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। পানিবন্দি গ্রামের মধ্যে রয়েছে বাউতলা, কালিকাপুর, ধলেশ্বর, বীরচন্দ্রপুর, বঙ্গেরচর, উমেদপুর, সেনারবাদি, সাহেবনগর, কুসুমবাড়ি, টানোয়াপাড়া, খলাপাড়া প্রভৃতি। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজীরবাজার এলাকায় অস্থায়ী সেতু ভেঙে স্থলবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে পানির তোড়ে আখাউড়া-কসবা সড়কের নয়াদিল ব্রিজের আংশিক অংশ ধসে পড়ে। ওই পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষ বিকল্প উপায়ে চলাচল করছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ৫টায় খোয়াই নদীর পয়েন্টে পানি ১১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন মাস্টার গৌর প্রসাদ দাশ পলাশ বলেন, ভারী বর্ষণের প্রভাবে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোত খোয়াই সেতুতে আঘাত করছে। এতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে রেল যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের রেলপথে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজারের রামুতে ঢলে ভেসে গিয়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও একজন শিশু। প্রবল বর্ষণে বাঁকখালী নদী এবং খালের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। পানির স্রোতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক। অধিকাংশ বাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। ঢলের পানিতে ভেসে যাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২), ঈদগড় ইউনিয়নের বৈদ্যপাড়া এলাকার মৃত লইগ্যা রাখাইনের ছেলে চচিং রাখাইন (৫৫) এবং গর্জনিয়া ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫)। নিখোঁজ শিশুটি হলো ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরিপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে মো. জুনাইদ (১০)।
No comments