নেপালে নদীতে পড়লো ভারতীয় পর্যটকবোঝাই বাস, নিহত ২৭

নেপালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত ২৭ জন ভারতীয়ের ময়নাতদন্ত শনিবার বাগমতি প্রদেশের একটি হাসপাতালে করা হয়েছে।   মৃতদেহগুলো  মহারাষ্ট্রে  নিয়ে যাবার আগে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এখবর জানিয়েছেন। নেপাল পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের ওই বাসে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। শুক্রবার পোখরা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল বাসটি। পথে তানাহুন জেলার মারসিংডি নদীতে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই বাসটি। তবে নদীর তীরেই বাসটির খোঁজ মিলেছে। স্থানীয় ডিএসপি দীপকুমার রায়া জানান, বাসটিতে উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট রয়েছে। জানা গেছে মৃত ২৭ জন ভারতীয় তীর্থযাত্রী প্রত্যেকেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন যারা ১০ দিনের সফরে নেপাল গিয়েছিলেন। ১৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মাই-রিপাবলিকা নিউজ পোর্টাল ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ দীপক রাইয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মৃতদেহগুলিকে আনবু খাইরেনি হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য চিতওয়ানে পাঠানো হয়।  মুম্বাইতে মহারাষ্ট্র সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিমান আজ মৃতদেহগুলিকে নাসিকে নিয়ে যাবে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রক্ষা খড়সে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এবং বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের ফিরে আসার বিষয়টি তদারকি করতে। তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত  বীন শ্রীবাস্তব এবং নেপালের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ব্রিঘু ধুঙ্গানা একত্রে  উদ্ধার অভিযান এবং পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনি আহত ১৬জনের একটি বিস্তারিত তালিকাও শেয়ার করেছেন, যাদের বেশিরভাগই ‘গুরুতর’ আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে দশজন নারী, বাকি ছয়জন পুরুষ। বাস দুর্ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এক্স-এ নিহতদের মৃত্যুতে  শোক প্রকাশ করেছেন। কাঠমান্ডু পোস্ট মোতাবেক, নেপাল পুলিশ এবং সেনার  দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃত এবং আহত যাত্রীদের তুলতে প্রায় সাত ঘন্টা সময় লেগেছিল। নেপালের আর্মড পুলিশ ফোর্সের (এপিএফ) ডেপুটি মুখপাত্র শৈলেন্দ্র থাপা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই ১৬ জন ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১১ জন মারা যান। আহত ১৬ জনকে বিমানে করে কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাস্থল কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাতীয় সড়কের কাছে  অবস্থিত।

সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

No comments

Powered by Blogger.