এশিয়ায় প্রথম এমপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত থাইল্যান্ডে
গত এক বছরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর থেকে আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।
কঙ্গোর আশপাশের দেশ বুরন্ডি, কেনিয়া রুয়ান্ডা এবং উগান্ডায় এর আগে এমপক্সের শিকার হয়নি। তবে বর্তমানে কঙ্গোর আশপাশের এলাকায় এই রোগটির ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে এমপক্সের ক্লেড ১-বি আরও উদ্বেগজনক অবস্থানে পৌঁছেছে। কঙ্গোর সীমান্তবর্তী এলাকা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আফ্রিকার বাইরে প্রথম এই রোগ শনাক্ত করা হয়েছে সুইডেনে। সপ্তাহখানেক আগে সেখানে এমপক্সের ক্লেড ১-বি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। সুইডেনে আক্রান্ত ব্যক্তিও সম্প্রতি আফ্রিকা ভ্রমণ করেছিলেন।
এমপক্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের মানুষের মধ্যে রোগটির বিস্তার দ্রুত লাভ করে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্ত রোগীর সাথে মেলামেশা, যৌনসম্পর্ক স্থাপন এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস আদান প্রদানের মাধ্যমেও এই রোগের বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে এই রোগের এখনও কোভিডের মতো সংক্রমন হচ্ছে না। তবে এমপক্সের যে নতুন ভ্যারিন্ট শনাক্ত করা হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে সতর্কতা জারি করেছে।
No comments