এশিয়ায় প্রথম এমপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত থাইল্যান্ডে

প্রাণঘাতী এমপক্সের নতুন একটি ধরণ শনাক্ত করেছে থাইল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে এশিয়ার প্রথম কোনো দেশে এম্পক্স শনাক্ত করা হল। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল আফ্রিকায়। আর আফ্রিকা মহাদেশের বাহিরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানিয়েছে সংক্রমিত ব্যক্তির বয়স ৬৬ বছর। ১৪ই আগস্ট অজ্ঞাতনামা একটি আফ্রিকান দেশ থেকে তিনি ব্যাংককে পৌঁছেছিলেন। দেশে পৌঁছানোর পরই তিনি তার শরীরে এমপক্সের লক্ষণ অনুভব করেন এবং হাসপাতালে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই রোগীর শরীরে এমপক্সের ক্লেড ১-বি নামের একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার তথ্য জানিয়েছে।

গত এক বছরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে ৪৫০ জনের বেশি মানুষ এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর থেকে আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।

কঙ্গোর আশপাশের দেশ বুরন্ডি, কেনিয়া রুয়ান্ডা এবং উগান্ডায় এর আগে এমপক্সের শিকার হয়নি। তবে বর্তমানে কঙ্গোর আশপাশের এলাকায় এই রোগটির ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে এমপক্সের ক্লেড ১-বি আরও উদ্বেগজনক অবস্থানে পৌঁছেছে। কঙ্গোর সীমান্তবর্তী এলাকা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আফ্রিকার বাইরে প্রথম এই রোগ শনাক্ত করা হয়েছে সুইডেনে। সপ্তাহখানেক আগে সেখানে এমপক্সের ক্লেড ১-বি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। সুইডেনে আক্রান্ত ব্যক্তিও সম্প্রতি আফ্রিকা ভ্রমণ করেছিলেন।

এমপক্স রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের মানুষের মধ্যে রোগটির বিস্তার দ্রুত লাভ করে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। আক্রান্ত রোগীর সাথে মেলামেশা, যৌনসম্পর্ক স্থাপন এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস আদান প্রদানের মাধ্যমেও এই রোগের বিস্তার লাভ করতে পারে। তবে এই রোগের এখনও কোভিডের মতো সংক্রমন হচ্ছে না। তবে এমপক্সের যে নতুন ভ্যারিন্ট শনাক্ত করা হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে সতর্কতা জারি করেছে।

No comments

Powered by Blogger.