ঝিনাইদহে কলেজের সভাপতিকে পেটালেন সংসদ সদস্য

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিরুদ্ধে কলেজের সভাপতি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিম শিপন মৃধা বারবাজার ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি অভিযোগ করেন, সংসদ উপজেলা শিক্ষা অফিসে ঢুকে তাকে প্রথমে চড়-থাপ্পড় ও পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। সোমবার দুুপুরে এমন ঘটনা নিয়ে কালীগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ভিকটিম শিপন মৃধা প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা ও জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার যুগান্তরকে বলেন, শিপন মৃধা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে কলেজের সভাপতি হয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি ডিও লেটারও দিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তাকে বাদ দিয়ে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলামকে ওই কলেজের সভাপতি করা হয়। কিন্তু শিপন মৃধা রবিউল ইসলামকে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার নামেও নানা আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছেন। সোমবার এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে শিপন মৃধা আমার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় তাকে আমি কয়েকটি চড় দিয়েছি। তবে লাঠি দিয়ে পেটানোর ঘটনা সত্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। লিখিত অভিযোগে শিপন মৃধা উল্লেখ করেন, আমি বারবাজার ডিগ্রি কলেজের নির্বাচিত সভাপতি। দীর্র্ঘ ৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত ৩০ মে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার আমি সভাপতি থাকা সত্ত্বেও তার নিজস্ব ডিও লেটারের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত মো. রবিউল ইসলামকে বারবাজার ডিগ্রি কলেজের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আমি বিষয়টি জানার পর একজন আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করি। ওই আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। সোমবার আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করি। এ সময় ওই রুমে প্রবেশ করেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এ সময় আমি দাঁড়িয়ে তাকে সালাম দিই। কিন্তু হঠাৎ করে সংসদ সদস্য আমার প্রতি উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোর এত বড় সাহস, আমার বিরুদ্ধে কথা বলিস? এই বলে আমাকে কিল-ঘুষি মারেন। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।’

No comments

Powered by Blogger.