দু’পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন শুরু

অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প কুড়িল-পূর্বাচল সংযোগ সড়কের দু’পাশের ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে কুড়িল-পূর্বাচল সংযোগ সড়কের বালু ব্রিজ সংলগ্ন ডুমনি মৌজায় খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদিত এ প্রকল্পের কাজ নানা জটিলতায় শুরু করতে দেরি হয়েছে। এ কারণে বাকি সময়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে ২০১৮ সালের আগস্টে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চায় সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কুড়িল-পূর্বাচল সড়কের দু’পাশের ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মহানগরীর নিকুঞ্জ, বারিধারা, জোয়ারসাহারা, ডিওএইচএস-ঢাকা সেনাবাহিনী, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর সংলগ্ন কুড়িল ও কুড়াতলী এলাকার পানি নিষ্কাশন সহজ হবে। একই সঙ্গে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এ খাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটি বাংলাদেশে একটি নিদর্শন হিসেবে দাঁড়াবে। কাজ শেষ হলে এ খালের সৌন্দর্য একটি আইকন হিসেবে দাঁড়াবে। এ সময় তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের দায়িত্ব পালনকারী সেনাবাহিনীকে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার অনুরোধ জানান। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার খাল খনন, প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৩৯ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, চারটি ইউলুপ, খালের ওপর ১৩টি সেতু, চারটি এক্সপ্রেসওয়ে ফুটওভারব্রিজ এবং পাঁচটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হবে। এর বাইরে একটি পাম্প হাউস, ১২টি ওয়াটার বাসস্টপ ছাড়াও ৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার স্টর্ম স্যুয়ার লাইন নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দু’পাশেই সাড়ে ৬ মিটার সার্ভিস সড়ক থাকবে। এরপর তিন মিটার প্রশস্ত হাঁটার পথের পর ৩০ মিটার খাল থাকবে। খালের পর আবার দুই মিটার হাঁটার পথ, ছয় মিটার সার্ভিস রোড থাকবে। সবশেষে থাকবে দেড় মিটার করে হাঁটার পথ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এএসএম রায়হানুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনিস, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, কুড়িল-পূর্বাচল সংযোগ সড়কের দু’পাশের ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্পের রাজউকের প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম এবং এ প্রকল্পের সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

No comments

Powered by Blogger.