ভাঙ্গায় বেড়াতে এসে তরুণী গণধর্ষণের শিকার, আটক ১

ফরিপুরের ভাঙ্গায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের জঙ্গলকান্দা গ্রামে। তরুণীর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আলশী গ্রামে। তার বাবার নাম কামাল মাঝি। ওই তরণী ঢাকার একটি গার্মেন্ট কারখানার কর্মী। বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা থানায় এসে মেয়েটি নিজেই ধর্ষকদের শনাক্ত করে জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় তরণীর বোনজামাই হাসমত শেখ বাদী হয়ে ৩ জন অজ্ঞাত নামাসহ মোট ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কহিনুর নামে একজনকে শনিবার ভাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করেছে। শনিবার দুপুরে তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র ও তরুণীর বোনজামাই হাসমত মাতুব্বর জানান, ঈদের ৭ দিন আগে ধর্ষণের শিকার তরুণী তার ছোট ভাই শাকিলকে নিয়ে বোনের বাড়ি উপজেলার খাটরা গ্রামে লক্ষ্মীপুর থেকে বেড়াতে আসে। বোনজামাই হাসমত মাতুব্বর বর্তমানে জঙ্গলকান্দা গ্রামে বাস করার সুবাদে ওই বাড়িতে তরুণী অবস্থান করে। একপর্যায়ে তরুণীটি পাশের বাড়ির বখাটে যুবক রাজিব ও সবুজের কুদৃষ্টিতে পড়ে। তারা বিভিন্ন সময় তরুণীকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। এতে ব্যর্থ হয়ে আফরিন নামে এক মহিলাকে দিয়ে রাতে ওই তরুণীকে ডেকে নেয়। এসময় বখাটে সবুজ, রাজিব মিলে আরো ২-৩ জনের সহযোগিতায় মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে স্থানীয় শামীম মাতুব্বরের বাড়ির পেছনে পাটক্ষেতে নিয়ে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি ডাক-চিৎকার দিলে আত্মীয়ের পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন অসুস্থ ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসা শেষে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। ভাঙ্গা থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকার পর শনিবার দুপুরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মিরাজ হোসেন (তদন্ত)  ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভাঙ্গা থানায় তরুণীর বোনজামাই হাসমত মাতুব্ব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ধর্ষিতাকে শনিবার দুপুর পুলিশি হেফাজত থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন এক আসামিকে আটক করা হয়েছে। শিগগিরই অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আয়তায় আনা হবে।

No comments

Powered by Blogger.