সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিতকল্পে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম আরো জোরালোভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ৪ গুণেরও অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৯ সালের ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভসহ) উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৯৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মোট ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে মোট ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন পরিকল্পনাসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি হচ্ছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮২টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী শতকরা ৪৭ জন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে শতকরা ৮০ ভাগে উন্নীত হয়েছে (নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘন্টা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪০৭ কিলোওয়াট ঘণ্টা দাঁড়িয়েছে (ক্যাপটিভসহ)।

No comments

Powered by Blogger.