ট্রাম্পের কলকাঠিতে কাতার বিচ্ছিন্ন!

কাতারের সঙ্গে যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রতিবেশী দেশগুলো সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প নিজেই। ট্রাম্প বলেছেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তার। কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ অন্যান্য ইসলামপন্থী দলগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে কাতার উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, এই অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার ও মালদ্বীপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল যে কাতার 'জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে'। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরটি ছিল খুব্ গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের রিয়াদ সফরের সময় ট্রাম্প তার এক ভাষণে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করে বাহরাইন। পরে সৌদি আরব,
মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পর্কচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তকে দেখা হচ্ছে গাল্ফ অঞ্চলের দেশগুলো, যারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তাদের সাথে কাতারের সম্পর্কচ্ছেদ হিসেবে। এর সাথে গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর সাথে ইরানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার একটি প্রভাব রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর টুইটারে লেখেন "মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন"। এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, "সৌদি আরবসহ পঞ্চাশটি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা"। সূত্র : বিবিসি

No comments

Powered by Blogger.