সিপিডি রাবিশ: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’কে (সিপিডি) আবারও রাবিশ (আবর্জনা) বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার ভাষায়, সিপিডি রাবিশ, রাবিশ, রাবিশ। এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি সিপিডিকে রাবিশ বলেছিলেন। বাজেটে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে, সিপিডির এমন মন্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী ‘রাবিশ’ কথাটি উচ্চারণ করেন। মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত বৈদেশিক সহায়তা ছাড় সহজকরণ সংক্রান্ত সফটওয়্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এই মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক হিসাবের আবগারি শুল্ক নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তা ‘খামাখা’। এই শুল্ক নতুন কিছু না, এটা আগে থেকেই ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে কাঠামোর ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে থাকা আমানতের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ভ্যাট আইন নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি তো শুধু প্রস্তাব করেছি। ভ্যাটের হার নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। আলোচনার উপর ভিত্তি করে সংসদেই সিদ্ধান্ত আসবে। বিশ্ব ব্যাংকের সোমবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ সরকার বলছে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
জিডিপি নিয়ে এত বিতর্ক কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ধারণা থেকে বিশ্ব ব্যাংক করে। তারা সবসময় কম প্রক্ষেপণ করে। আমরা পারফরমেন্স ভালো করি। ফলে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ভালো হয়। বাস্তবতা হল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে হিসাব দেখায় সংস্থাগুলো (বিভিন্ন দাতা সংস্থা) সেটাই মেনে নেয়। গত অর্থবছরেও তাই হয়েছে। সুতরাং এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। সংস্থাগুলো ধারণার ওপর ভিত্তি করে এই হিসাব দেয়। বছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ ছাড়াবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জানানা হয়, বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পসমূহ ও ইআরডির মধ্যে অনলাইনভিত্তিক একটি আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্যই ফরেন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএএমএস) সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের সঙ্গে সরকারের সবগুলো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকও যুক্ত থাকবে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কেউ বৈদেশিক সহায়তার তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমি বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন পড়েছি। তারা (বিশ্ব ব্যাংক) ধারণার ওপর ভিত্তি করে এসব প্রতিবেদন করে। পরে বিবিএসের দেয়া রিপোর্ট গ্রহণ করেছে।

No comments

Powered by Blogger.