জঙ্গি সালমানের খোঁজে তৎপরতা

কানাডার ফেরারি জঙ্গি সালমানের সন্ধানে মাঠে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে বিভিন্নস্থানে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ‘গুলশানের কফি শপে কানাডার ফেরারি জঙ্গি সালমান’ শিরোনামে মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সালমান হোসেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গুলশান, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করেন গোয়েন্দারা। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. ক. সারোয়ার বিন কাসেম মানবজমিনকে বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই জেনেছি। সকাল থেকেই এ বিষয়ে আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি। অফিসাররা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তবে এখনও সালমানের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। সূত্রমতে, সালমানের অবস্থান নিশ্চিত হতে গুলশান ও উত্তরার কয়েকটি স্থানে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। পত্রিকার ওই সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে গোয়েন্দারা মাঠে নামলেও সালমান ঢাকায় রয়েছেন কি-না এ বিষয়ে নিশ্চিত নন তারা। ফেরারি জঙ্গি সালমান হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে কানাডীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ইন্টারপোল একটি রেড নোটিশ প্রকাশ করেছে। ইন্টারপোলের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে। পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, সালমান হোসেন বাংলাদেশে অবস্থান করলে অন্যান্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে। তাই বিষয়টি কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখা হচ্ছে না। সারা দেশে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। যদি এরকম কোনো জঙ্গি দেশে অবস্থান করে থাকে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তবে সালমান বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সহেলি ফেরদৌস মানবজমিনকে বলেন, সালমান হোসেন কানাডার ফেরারি আসামি। কানাডার অনুরোধ ইন্টারপোল একটি রেড নোটিশ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সালমান হোসেন বাংলাদেশে রয়েছে বলে পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই জাতীয় কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
গুলশানের কফিশপে কানাডার ফেরারি জঙ্গি সালমান: কানাডিয়ান ন্যাশনাল পোস্ট
কানাডীয় পলাতক আসামি সালমান হোসেন। দেশটির অন্টারিওর প্রাদেশিক পুলিশ ও ইন্টারপোলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশ্বের যেখানে তাকে পাওয়া যাবে সেখানেই পুলিশ তাকে ধরতে পারবে। সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় উস্কানি দিয়েছেন। এমন অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তাকে খুব সহজেই ঢাকায় শনাক্ত করেছেন একজন ফটোগ্রাফার। দিনটি ছিল রোববার। ঢাকাস্থ গুলশানের একটি কপিশপে ৩২ বয়স্ক এই সাবেক টরেন্টোর বাসিন্দার খোঁজ মেলে। তিনি বন্দি হন ক্যামেরার ফ্রেমে। বাংলাদেশি লাইসেন্স প্লেট থাকা একটি সিলভার টয়োটা করোলায় তাকে ওই কফিশপে হাজির হতে দেখা যায়। বনানীতে এক বিলাসবহুল হোটেল লেকশোর। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ঘরোয়াভাবে তিনি আলোকচিত্র সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আসছিলেন তাই তাকে ওই ফটোগ্রাফারের নজরে এনে দেয়। দিয়া বাড়ির উত্তরা নামের একটি এলাকায় এই যুবক তার করোলা গাড়ি পেছনে রেখে দাঁড়িয়েছিলেন। লেকশোরে জিমে রাখা গাড়িও ছাপা হয়েছে কানাডিয়ান ন্যাশনাল পোস্টে।
টরেন্টোর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত স্টাফ সার্জেন্ট পিটার লিওন বলেছেন, এই ব্যক্তি এখনো আইনের চোখে ফেরার। লিওনের কথায়, কানাডার ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে গণহত্যার সংশ্লিষ্টতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০১০ সালের জুলাই মাসে সালমান হোসেনের বিরুদ্ধে গণহত্যায় মদতদানের অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ৫টি অভিযোগে ১৬ বছরের জেল হতে পারে। ওই সার্জেন্ট বলেছেন, আমরা সাত বছর পরে তাকে খুঁজে পেয়েছি। এবং তাকে সোপর্দ করতে আমাদের পক্ষে সম্ভব সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ন্যাশনাল পোস্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে অবহিত করা ব্যতিরেকে কানাডায় তাকে বিচারের জন্য ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে তারা আর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আনা হয় তখন থেকেই পুলিশ বলে আসছে তাকে গ্রেপ্তারে তারা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাইবে।
ন্যাশনাল পোস্ট পত্রিকা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য নেয়ার চেষ্টা করেছে। এতে আরো বলা হয়, অটোয়ায় একজন বাংলাদেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন তারা এ মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশি কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ বিষয়ে সচেতন নই। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কেউ ওয়ান্টেড হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকারকে জানতে হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, পলাতক আসামিদের ব্যাপারে বাংলাদেশকে কি করে অবহিত করতে হয় সেই পদ্ধতি কানাডীয় সরকারের জানা আছে। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যেকোনো ধরনের উগ্র পন্থা, সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। গ্লোবাল
অ্যাফেয়ার্স কানাডার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্ডেড পুলিশ (আরসিএমপি) জানতে চেয়েছে যে, কানাডীয় সরকার সালমানকে গ্রেপ্তারে কি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর উত্তরে আরসিএমপি বলেছে, কানাডীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারে অনুরোধ জানিয়ে ইন্টারপোল একটি রেড নোটিশ ইতিমধ্যে পোস্ট করেছে।
আরসিএমপি মুখপাত্র সার্জেন্ট হেরল্ড জানিয়েছেন, ইন্টারপোলের কোনো রেড নোটিশকে কিভাবে কতটা আইনগত মূল্যায়ন দেয়া হবে সেটা সদস্য দেশ নির্ধারণ করে থাকে। সুতরাং, ইন্টাপোলের রেড কর্ণার নোটিশের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের সামর্থ্য এবং কোনো দেশ থেকে তাকে বিচারের জন্য ফেরত পাঠানোর বিষয়টি কোনো গ্যারান্টি দেয় না।
ন্যাশনাল পোস্ট-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান হোসেন ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এজাহার অনুমোদিত হওয়ার অল্প আগে কানাডা ছেড়ে যান। তবে তিনি তার গন্তব্য সম্পর্কে অনলাইনে ইঙ্গিত রাখেন। গত সেপ্টেম্বরে পোস্ট করা একটা ভিডিওতে বাংলা ভাষা শোনা যায়। ওই ভিডিওতে সালমান প্রত্যক্ষ করছিলেন যে কতিপয় লোক একটি ছাগল জবাই করছে।
ইউটিউবে ওই ভিডিওর নিচে লেখা আছে, ‘এভাবেই ইহুদি এবং তাদের ক্রীতদাসদের নিধন করা দরকার। যখন তারা ধরা পড়বে বিশ্বব্যাপী তখন তাদের শাস্তি হবে। সেখানে আরো লেখা রয়েছে, দায়েশ তোমরা কি ইসরাইল এবং গুরুত্বপূর্ণ ইহুদিদের টার্গেট করার কর্তব্য পালন ভুলে গেছো।’ দায়েশ আইএসের আরেকটি নাম।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তিনি সালমান হোসেনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত হন। তবে তখনো তিনি জানতেন না তার নাম ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী বলেন, এই বাংলাদেশি কানাডীয় ব্যক্তি এক ডজনের বেশি অনলাইন ব্যবহারকারীর পরিচয় দিয়ে থাকেন। ওই ব্যক্তির দাবি সালমান ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ব্যক্তি বলেন, সালমান হোসেন মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর কথা বলেছেন তাকে। ওই ব্যক্তিকে ইতিপূর্বে দেয়া ঢাকার একটি ফোন নাম্বার ন্যাশনাল পোস্টকে সরবরাহ করেছেন। ওই নম্বরে কথা বলেছেন, এমন একজনের কণ্ঠে উত্তর আমেরিকার ইংরেজি উচ্চারণ শুনতে পাওয়া যায়। যখন একজন সংবাদদাতা নিজের পরিচয় দেন তখন উত্তর আসে আপনি ভুল নম্বরে ডায়াল করেছেন। এরপর ওই নম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং টেক্সটের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠালেও তার কোনো উত্তর আসেনি।
সেন্টার ফর ইসরাইল অ্যান্ড জিউস অ্যাফেয়ার্সেস সিইও সিমন কফলার বলেছেন, আমরা বিস্মিত এবং উদ্বিগ্ন যে, ওই ব্যক্তি এখনো পর্যন্ত ধরা পড়েনি। এবং তাকে ইতিমধ্যে কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বিশেষ করে যখন সাধারণভাবে তার অবস্থান জানা গেছে এবং তিনি অব্যাহতভাবে ইহুদিদের মৃত্যু কামনা করে চলেছেন।
ন্যাশনাল পোস্ট প্রতিবেদনে এরপর বলা হয় যেহেতু ইহুদিবিরোধী এবং মুসলিম বিরোধী দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে তাই এ ঘটনা এটা প্রমাণ করছে যে কানাডায় হেইট ক্রাইমের বিচার করা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সালমান হোসেন কানাডীয় কর্তৃপক্ষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন একদশক আগে। তখন তিনি এক ইন্টারনেট পোস্টের মাধ্যমে কানাডা আক্রমণে ‘মুসলিম’ মিলিটারিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
অনলাইন তার এই উস্কানিমূলক পোস্ট প্রত্যক্ষ করে কানাডীয় ইন্টিলিজেন্স সার্ভিস এবং আরসিএমপি তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছিল। সালমান হোসেন উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি উগ্রবাদ ও সহিংসতার স্বপক্ষে তৎপরতা চালাতে থাকেন। বিশেষ করে তিনি ইহুদি নির্মূলে পৌনঃপুনিকভাবে আহ্বান জানিয়ে চলছেন।
ইহুদি গ্রুপগুলোর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও অন্টারিওয়র অ্যাটর্নি জেনারেল ২০০৯ সালে সালমানের বিরুদ্ধে হেট ক্রাইমের অভিযোগে মামলা দায়ের থেকে বিরত থেকেছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, সালমান অনলাইন পোস্টিং বন্ধ করে দিয়েছেন এবং তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি পুনরায় ইহুদিবিরোধী প্রচারণা শুরু করেন। এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উত্তর আমেরিকায় ইহুদি জনগোষ্ঠীকে ‘নির্মূলের’ প্রচারণা চালান। ২০১০ সালের মার্চে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি সালমানকে বহিষ্কার করে। এরপর পুলিশ তার বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু করার পর কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনা চার্জ অনুমোদনের আগেই পালিয়ে যান।
সালমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন বর্তমান পুলিশ কমিশনার ভিং ছকস। তিনি বলেছেন, ফেডারেল এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ তার প্রত্যর্পণ বিষয়ে বিকল্পগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। পুলিশ কমিশনারের কথায়, তার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে, কানাডার পুলিশ তার বিচারের জন্য কানাডার মাটিতে তাকে পাবেই।
ঘটনার শুরুতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্তব্যরত জুলিয়ান ফ্যন্টিনো যিনি পরে একজন কনজারভেটিভ এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এটা স্মরণ করতে পারি যে, তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের অনুমতি পেতে খুব বেশি সময় ব্যয় করা হয়েছিল। মি. ফ্যান্টিনো বলেন, সালমানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কানাডীয় সরকারকে এখন অনতিবিলম্বে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং সালমানের ইহুদিবিরোধী উস্কানি নাৎসি আমলকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তার কথায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত যে এখনো পর্যন্ত তাকে বিচারের জন্য কাঠগড়ায় তোলা যায়নি।
কেয়ার-কানাডা যা এখন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিম হিসেবে পরিচিত। তারা সালমানের মন্তব্যকে ‘ডিজগাস্টিং’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক। এবং তাদের সংগঠন এই বার্তা পৌঁছাতে চায় যে, সালমান যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তা অবশ্যই অনিয়ন্ত্রিতভাবে যেতে পারে না।
এক অনলাইন পোস্টে গত বছর তিনি নিজ নামে লিখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাতে লেখা, পশ্চিমা বিশ্বের ইহুদি মালিকানাধীন রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে একটি সর্বাত্মক গণহত্যা সংগঠন পরিচালনা এবং এর স্বপক্ষে প্রচারণা শুরু করতে এবং একটি বিপ্লব নিশ্চিত করতে তিনি কানাডা ছেড়ে এসেছিলেন।
সালমানের কথায়, মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা থেকে বিরত রাখতে ইহুদি এবং তার সমর্থকদের জন্য ‘এক্টারমিনেশন প্রোগ্রাম’ বা নির্মূল কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার। যতদিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে ইহুদি ক্ষমতার সমাধি না ঘটে ততদিন পর্যন্ত আমি কখনই বহুমুখী গণহত্যা সংগঠন এবং তা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালানো থেকে নিজেকে বিরত রাখবো না।

No comments

Powered by Blogger.