সুপ্রিমকোর্টের সাথে পরামর্শ ছাড়া বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত নয়

সুপ্রিমকোর্টের সাথে পরামর্শ ব্যতীত কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে অসদাচরণ, দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে তার প্রাথমিক তদন্ত বা অনুসন্ধান না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে জারি করা হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এ সার্কুলার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কোন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত যে কোন অভিযোগ সুপ্রিমকোর্টের সাথে পরামর্শ ছাড়া তদন্ত বা অনুসন্ধান পরিচালনা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সুপ্রিমকোর্টকে অবহিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এবং সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে তা প্রযুক্ত হয়। ফলে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, বিদেশ গমন ও চাকরির অন্য শর্তাবলী ইত্যাদি সব বিষয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপ্রিমকোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্ধারণ করা বাধ্যকর। এছাড়া সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের হাতে ন্যস্ত আছে। সংবিধানের ১০৯, ১১৬, ১১৬(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস ও এই সার্ভিসের সদস্যদের অন্য সব সার্ভিস থেকে পৃথক এবং স্বাতন্ত্র করা হয়েছে। সার্কুলারে আরো বলা হয়, মাজদার হোসেন ও অন্যান্য মামলায় আপিল বিভাগ কর্তৃক বিচারকর্ম বিভাগে কর্মরত বিচারকগণের অন্যান্য সকল বিষয়ের পাশাপাশি শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়েও সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শের প্রাধান্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.