ট্রেনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার শেষ দিন ছিল শুক্রবার। এদিন ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। সীমিত টিকিট থাকায় অনেকে তা কাটতে পারেনি। শুক্রবারসহ গত চার দিন (অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়) যারা অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেনি তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিট প্রত্যাশীদের জন্য ১৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ৫ দিন মাত্র কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পৌনে ৩ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১৯ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ঈদ ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন শুক্রবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও এদিন সুবর্ণ, সোনার বাংলা, তূর্ণা নিশিতা, সিল্ক সিটিসহ বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেননি অনেকে। আরিফুল ইসলাম নামের এক টিকিট প্রত্যাশী জানান, ২৫ তারিখ চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। আন্তঃনগর কোনো ট্রেনের কোনো টিকিটই তিনি কাটতে পারেননি। জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী যুগান্তরকে বলেন, 'টিকিট প্রত্যাশী অধিকাংশই টিকিট কাটতে পেরেছেন। টিকিট সীমিত হওয়ায় সামান্য কিছু লোক টিকিট কাটতে পারেননি।
যারা টিকিট পাননি তাদের সুবিধার্থে ঈদ যাত্রার শুরু থেকে ১৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট কাউন্টার থেকে দেয়ার সীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেবল মাত্র যাত্রার দিন চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনবিহীন সব কয়টি আন্তঃনগর ট্রেনে মোট টিকিটের ১৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট প্রদান করা হবে।' সিতাংশু চক্রবর্তী জানান, অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুক্রবার শেষ হয়েছে। আগামী ১৯ জুন থেকে ২৩ জনু পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশনে থেকে ঈদ ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ৫ দিনে শুধুমাত্র কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পৌনে ৩ লাখ অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে শেষ দিন অগ্রিম টিকিট কাটতে পেরে খুশিতে গ্রামের বাড়িতে ফোন করছিলেন রাজশাহীগামী বাবুল চৌধুরী ও শাওন চৌধুরী দম্পতি। বাবুল জানান, শেষ দিন অগ্রিম টিকিট কাটতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। স্ত্রীকে নারীদের লাইনে দাঁড় করান। সারা রাত স্ত্রীর পাশেই ছিলেন তিনি। সকাল ৯টার দিকে স্ত্রী ৪টি টিকিট কাটতে পেরেছেন। অসুস্থ মা ও পরিবারের সদস্যরা ঈদ করতে রাজশাহীর গ্রামের বাড়িতে যাবেন। ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি মো. ইয়াছিন ফারুক যুগান্তরকে বলেন, অত্যন্ত সুষুমভাবে গত ৫ দিন অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। কোনো টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হয়নি। কালোবাজারিরা স্টেশন চত্বরেই ভিড়তে পারেনি। টিকিট প্রত্যাশীদের কাছ থেকেও কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ২১ জুন থেকে ঈদ যাত্রা শুরু। এ উপলক্ষে পুরো কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.