বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্র! by মাসুদ করিম

কূটনীতিকদের বিশেষ নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার
রাজধানীর বারিধারায় সোয়াত টিমের টহল-যুগান্তর
একের পর এক স্থগিত হচ্ছে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ও সফর ** বিদু্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪১ বিদেশী প্রত্যাহার ** কিছু দেশ অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ** দেশের ভাবমূর্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা
বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের অহেতুক কিছু কর্মকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এরই অংশ হিসেবে স্থগিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর। সম্প্রতি জাপান ও ইতালির দু’জন নাগরিক খুন হওয়ার পর পশ্চিমারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু এরপরও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এখনও বহাল রেখেছে তাদের সতর্কবার্তা। পাশাপাশি অহেতুক স্থগিত করা হচ্ছে একের পর এক পূর্বনির্ধারিত বিভিন্ন কর্মসূচি ও সফর। যা বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে তেমন কোনো মিল নেই। তাদের এ কর্মকাণ্ড আর কিছুদিন বহাল থাকলে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
২৫ সেপ্টেম্বরের আগে বাংলাদেশে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়া ও পশ্চিমা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে একটি হুমকির তথ্য অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তারপর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যায়। তারপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হুগো শোয়ারে তার সফর স্থগিত করেন। হুমকির আশংকায় বাতিল হয় অস্ট্রেলিয়ার একটি কনসার্ট। স্থগিত করা হয়েছে বাংলাদেশী পণ্যের ক্রেতাদের নিয়ে পূর্বনির্ধারিত ‘বায়ার ফোরাম’ বৈঠক এবং স্পেনের জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপান ‘স্টাডি ইন জাপান’ বিষয়ক পূর্বনির্ধারিত একটি সেমিনার স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, এ অনুষ্ঠান পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত হবে। একটি জার্মান গবেষক দলের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করা হয়েছে। তাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এছাড়া নিরাপত্তার অজুহাতে নির্মাণাধীন তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪১ বিদেশী কর্মী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এসব বিদেশীর মধ্যে স্পেন, বুলগেরিয়া, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তারা স্পেনের আইসোলাক্স কোম্পানির অধীনে কাজ করতেন। দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের পর আইএসের দায় স্বীকারের কারণে আইসোলাক্স তাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। ৫ অক্টোবর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগে চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিদেশীদের প্রত্যাহারের কথা জানায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ দিনে এ ৪১ বিদেশীকে প্রকল্প এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাদের কয়েকজন ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন। জানা গেছে, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির (ইজিসিবি) নির্মিতব্য সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) ৩৩৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে ৩৮ জন, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির খুলনা ১৫০ মেগাওয়াট প্রকল্প একজন এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিবিয়ানা (হবিগঞ্জ) ৪০০ মেগাওয়াটের প্রকল্প থেকে দু’জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
যদিও জার্মানি, চীন ও সৌদি আরব এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ঢাকায় তাদের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান করেছে। হোটেলে পশ্চিমাদের সমাগমস্থল পরিহারে নিরাপত্তা সতর্কবার্তা জারি করেও কূটনীতিকরা নিজেরা বিভিন্ন হোটেলে ওইসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি সচেতন। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ দুটি বড় ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলন প্রত্যেক্ষ করেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অনেকগুলো আন্দোলন হয়েছে। তারপর ওই নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৩ মাস লাগাতার অবরোধ হয়েছে। এ দুটি আন্দোলনে সহিংস পরিস্থিতির উদ্ভব হলেও এ দেশে বিদেশীরা কখনও টার্গেট হননি। ওই সময় ভারতের ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর করেছে। তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা সারা দেশের ৬৪ জেলা সফর করেছেন। এসব সফরে তার নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হয়নি।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কিছু দেশ ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ দেখাচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে আবারও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে ডেকে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ভ্রমণে কোনো দেশের রেড অ্যালার্ট নেই। বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণে সাধারণ সতর্কবার্তা দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির কোনো সংকট হবে না। এটা কোনো সংকট নয়। এটা একটা সাময়িক সমস্যা।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়েও কোনো কোনো দেশ এমন সাবধানতা অবলম্বন করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণ সতর্কতা শুধু বাংলাদেশে নয়। বরং আরও অনেক দেশে তারা এমন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে রাখে।
সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন। দুই মন্ত্রী সরকারের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার উল্লেখ করেন। তারপর বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদিকে, বৃহস্পতিবার স্পেন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হেমায়েত উদ্দিন দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের আশ্বাসের পর কিছু দেশের বাড়াবাড়ি রকমের প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয় বলে মনে করেন। তিনি বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘দুই বিদেশী হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানাই। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্যে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু আজকের পৃথিবীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে বিদেশী দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের সাবধানে চলতে বলতে পারে। তাই বলে এমন অবস্থা সৃষ্টি করা ঠিক না যে অবস্থা বাংলাদেশে নেই। বহু দেশে সহিংসতা, বোমাবাজি হচ্ছে, বিদেশী নাগরিক মারা যাচ্ছেন। আমাদের দেশে এমন হয়নি। এখন সরকার যখন বিদেশীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে, তখন বিদেশীদের আর কোনো কথা থাকে না। পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা কি আছে যে, বিদেশীদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দিতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘জাপানি নাগরিকের কথাই ধরেন, ওই লোকটা রংপুরে মুসলমান হয়ে এক বছর ধরে রুম ভাড়া করে থাকেন। সেই তথ্যটা কি দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের কাছে দিয়েছে যে তার ব্যাপারে দেখভাল করা দরকার। তাদেরও তো একটা দায়িত্ব আছে। এখন দুটি ঘটনা নিয়ে বিদেশী দূতাবাসগুলোর ওভার প্লে করলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উৎসাহিত হবে। বিদেশী দূতাবাসগুলোর উচিত হবে সরকারকে কোনো পরামর্শ থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করা।’
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়েকটি দেশ অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বলে মনে করেন। তিনি বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে দু’জন বিদেশী নাগরিক খুন হয়েছেন। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না। বাংলাদেশে বিদেশীদের সম্মান দেখানোর সুনাম আছে। তবে এমন নয় যে, পৃথিবীতে এমন ঘটনা একেবারেই ঘটে না। ফলে এ নিয়ে এতটা শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। পশ্চিমারা তাদের নাগরিকদের ব্যাপারে খুবই সচেতন। সেদিক থেকে তাদের উদ্বেগ থাকাটা দোষের নয়। তার মানে এই নয় যে, তারা কর্মসূচি বাতিল করে দেবে, ক্রিকেট দলের সফর স্থগিত করবে। উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরও কারও কি সাধ্য আছে যে, ক্রিকেট দলের ক্ষতি করবে?’
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা নিয়েও বাংলাদেশ বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে। রানা প্লাজা ধসের পর দেশটি বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল। ওই অ্যাকশন প্ল্যানের মধ্যে যেসব শর্ত ছিল তার সবই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। কিন্তু এখন জিএসপি সুবিধা বাস্তবায়ন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। বরং নতুন করে ‘ট্রান্স প্যাসিপিক পার্টনারশিপ’ (টিপিপি) নামের একটি বহুজাতিক চুক্তি সম্পাদন করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নতুন এক অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি করেছে। টিপিপির আওতায় প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী যে ১২টি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে তার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রায় ১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তার বিপরীতে ভিয়েতনাম শূন্য শুল্কে পণ্য রফতানি করলে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আফ্রিকা ও সাব সাহারার দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে আগেই শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুযোগ লাভ করেছে। এখন টিপিপি পোশাক শিল্পের জন্য নতুন এক সংকটের সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য পশ্চিমাদের বিপরীত অবস্থানও আছে চীন ও রাশিয়া। তারা এখনও পর্যন্ত কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। চীনের রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সতর্কবার্তা দেয়ার মতো অবস্থানে নেই তার দেশ। আরব দেশগুলোও পশ্চিমাদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে যোগ দেয়নি। জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী ড. জেরার্ড মুলার ৫ থেকে ৭ অক্টোবর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে বলেছে যে, বিদেশীদের জন্য বাংলাদেশ খুবই নিরাপদ। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানিয়েছে। কেননা জিম্বাবুয়ে শুধু ক্রিকেট খেলতে আসবে, দেশটি ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত নয়।
আরব দেশগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করে মিসরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জাত বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, দুই বিদেশী হত্যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কোনো যোগসূত্র নেই। আমাদের মনে হয়, এটি সামাজিক অপরাধ কিংবা এখানকার রাজনৈতিক কারণে হয়ে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আমরা এ ব্যাপারে এমনটাই অনেক বেশি আশ্বস্ত হয়েছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বিদেশী হত্যার ঘটনা তেমন না ঘটলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশী হত্যার ঘটনা একেবারে নজিরবিহিন কোনো ঘটনা নয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ৬ মাসে ২৯ জন বাংলাদেশী খুন হলেও সেগুলোর তদন্তে কোনো কিনারা করতে পারেনি ওই দেশের পুলিশ। নিহত বাংলাদেশীদের বেশিরভাগই প্রবাসী ব্যবসায়ী। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে লুট হয়েছে তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সম্প্রতি দু’জন বাংলাদেশী খুন হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.