রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় ইইউ দূতের সন্তোষ

চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট উত্তেজনা সামপ্রতিক সময়ে তা প্রশমিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্রম উন্নতি কামনা করে ভবিষ্যতেও এটি বিরাজমান থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাব আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠান ডিকাব-টক এ গতকাল সন্ধ্যায় প্রশ্নোত্তর সেশনে ইউরোপের ২৮ রাষ্ট্রের জোটের প্রতিনিধি এভাবেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেন। রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিকাব) প্রেসিডেন্ট মাসুদ করিমের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে প্রায় ৩ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রদূত মায়েদুন। ভারতের সঙ্গে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতার সূচনা করেন তিনি। সেখানে তার আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল আঞ্চলিক সংযোগ বা কানেকটিভিটিতে বাংলাদেশের ইতিবাচক উদ্যোগের প্রশংসা। ইইউ আদলে দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলো যেভাবে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছ সেটিও ওঠে আসে। সদ্য সমাপ্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কর্মসূচি বিশেষ করে তার উদ্দীপনামূলক বক্তৃতায় নানা দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। গত ১৫ই জুন থিম্পুতে সই হওয়া চতুর্দেশীয় যান চলাচল চুক্তিসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় স্থান পায় তার দীর্ঘ বক্তৃতায়। তবে সেখানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোন কথা ছিল না। প্রশ্নোত্তর সেশনে বিষয়টি রাষ্ট্রদূতের নজরে আনা হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এ সময়  অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র সম্পর্কের ‘মানবাধিকার’ হচ্ছে এক নম্বর এজেন্ডা। ‘কানেকটিভিটি’ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে ইইউ দূত বলেন, এর মধ্য দিয়ে মানুষে মানুষে যোগাযোগ, পণ্য, অর্থ এবং ধারণ?া বিস্তৃতি ঘটে। ক্রমাগত এটি বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর অগ্রযাত্রা কোন কিছুই থামাতে পারবে না। কানেকটিভিটির দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করছে। এবং সুযোগগুলো কাজে লাগাচ্ছে। তিনি বলেন, ইউরোপে যেমন পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে সেই রকমভাবে দেখা দিয়েছে এই সুযোগগুলো। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, এ সুযোগ নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। সমপ্রতি ভুটানে স্বাক্ষর হওয়া চার দেশীয় মোটরযান চলাচল বিষয়ক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে পিয়েরে মায়াদুন বলেন, এতে দক্ষিণ এশিয়ায় আন্ত-সংযোগ বাড়াবে এবং অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।

No comments

Powered by Blogger.