বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির নির্মাণে মুসলিমদের জমি দান

ভারতের বিহারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির নির্মাণে জমি দান করেছেন মুসলিমরাও। শুধু দানই নয়, নামমাত্র মূল্যে মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জমি বিক্রিও করেছেন তারা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল নজির স্থাপনের জন্য মুসলিম পরিবারগুলোর ব্যাপক প্রশংসা করছে মন্দির নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। চম্পারন জেলায় নির্মিতব্য ওই হিন্দু মন্দিরটি ২০০০০ মানুষ ধারণ করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া মন্দির নির্মাণের স্থান নেপাল সীমান্তের কাছে হওয়ায়, একে ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মন্দিরের নাম হবে ‘বিরাট-আংকর ওয়াত রাম মন্দির’। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএনএস। পাটনাভিত্তিক মহাবীর মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক আচার্য কিশোর কুনাল বলেন, মুসলিমরা কেবল জমি দানই করেননি, তারা নামমাত্র মূল্যে জমি বিক্রিও করেছেন। মুসলিমদের সহযোগিতা ছাড়া এ স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন খুব কঠিন হতো। ভারতীয় পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা কুনাল মন্দির নির্মাণের ওই উচ্চাবিলাসী প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করছেন। পূর্ব চম্পারন জেলার জঙ্কিনগরের পাশে জুন মাস থেকে শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। নির্মাণে মোট খরচ হবে ৫০০ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ। কিশোর কুনাল বলেন, মন্দিরের জন্য হিন্দুদের জমিদানের বিষয়টি সাধারণ। কিন্তু মুসলিমদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমনটি দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, মন্দিরের প্রস্তাবিত স্থানের মধ্যে ৩ ডজনেরও বেশি মুসলিম পরিবারের জমি রয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী মূল সড়কের পাশে জমি রয়েছে বেশ কয়েকটি মুসলিম পরিবারের। কুনাল জানান, বর্তমানে মহাবীর মন্দির ট্রাস্টের ২০০ একর জমি রয়েছে। হিন্দু ও মুসলিমরা ৫০ একর জমি দান করেছেন। বাকি জমি কেনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতের গয়া জেলায় দুর্গাদেবীর নামে একটি মন্দির নির্মাণে মুসলিমরা সাহায্য করেছিলেন। এছাড়াও বেগুসারাই ও সিতামারি জেলায় শিবমন্দির নির্মাণেও সাহায্য করেছেন মুসলিমরা।

No comments

Powered by Blogger.