জোর করে কিশোরী বিয়ে করলেন চেচনিয়ার পুলিশপ্রধান!

কনের বয়স মাত্র ১৭ বছর। নাম খেদা গয়লাবিয়োভা। আর বর হলেন চেচনিয়ার পুলিশ প্রধান নাজহুদ গুচিগভ (৪৭)। তার আবার আগের একজন স্ত্রীও রয়েছে। রাজধানী গ্রজনিতে গত রোববার সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে চেচেন রিপাবলিকের নেতা রমজান কাদিরভও উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে যে, গুচিগভকে বিয়ে করতে গয়লাবিয়েভাকে বাধ্য করা হয়েছে। এ নিয়ে রাশিয়ায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে গুচিগভের বয়স ৫৭ বছর। পরে তিনি নিজে বলেছেন, তার বয়স ৪৭। কিন্তু রাশিয়ায় জোর করে বিয়ে করা, অল্পবয়সীকে বিয়ে করা কিংবা বহুবিবাহ কোনোটাই আইনসম্মত নয়। এ বিয়ে নিয়ে রাশিয়ার গণমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে কাদিরভ সংশ্লিষ্ট দম্পতির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনধিকার চর্চা না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। গত মাসের শেষদিকে ‘নোভায়া গেজেটা’ নামের একটি অনুসন্ধানী সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পর এ কেলেংকারির বিষয়টি সামনে আসে। খবরে বলা হয়,
পুলিশ প্রধান গুচিগভ ‘দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি’ এড়াতে হলে তাদের মেয়েকে তার কাছে সমর্পণ করতে হবে বলে গয়লাবিয়োভার বাবা-মাকে ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন। যে সাংবাদিক ওই প্রতিবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার কারণে তিনি চেচনিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন। গুচিগভ প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা করছেন না।" চলতি মাসের শুরুর দিকে কাদিরভ বলেন, খবরটি জাতীয় গণমাধ্যমে জায়গা করে নেয়ার ঘটনায় তিনি হতাশ। তিনি বিষয়টি নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের তথ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। দ্য গার্ডিয়ান।

No comments

Powered by Blogger.