জর্ডানের বিমান হামলায় মার্কিন জিম্মি নিহত

সিরিয়ার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী জিম্মি জর্ডানি বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইএস। ওই নারীকে বন্দি করে রাখা একটি ভবনে জর্ডানি জঙ্গি বিমানগুলোর চালানো হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে আইএস। তবে আইএসের এই দাবির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে জর্ডান। ওয়াশিংটন পোস্ট অ্যারিজোনার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী কাইলা মুয়েলের নিহত হয়েছেন, এমন খবর তারা নিশ্চিত করতে পারছেন না বলে রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা। এসআইটিইতে প্রকাশিত বার্তানুযায়ী ইসলামিক স্টেট বলেছে, শুক্রবার জর্ডানি বিমান হামলায় রাক্কা শহরের কাছে একটি ভবন বিধ্বস্ত হয়ে কাইলা নিহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত ভবনটিতে জিম্মি কাইলাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা। ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই একই এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়।’ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে তা বিধ্বস্ত ওই ভবনটির বলে দাবি করেছে আইএস, কিন্তু এসব ছবির মধ্যে নিহত কাইলার কোনো ছবি নেই। জর্ডান জানিয়েছে, শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো তারা আইএসের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
আইএসের দাবির প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকারি মুখপাত্র মোহাম্মদ মোমানি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে আমাদের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এটিকে অযৌক্তিক বলে মনে করছি ও এর বিষয়ে অত্যন্ত সন্দিগ্ধ মনোভাব পোষণ করছি।’ ‘আকাশের অত উপরে থাকা জর্ডানি যুদ্ধবিমানগুলোকে তারা শনাক্ত করল কী করে? যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী একটি অস্ত্রাগারে কী করছিলেন?,’ বলেন তিনি। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র বের্নাদেত্তে মীহান বলেছেন, ‘মুয়েলার নিহত- এমন দুঃসংবাদে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তবে গোষ্ঠীটির দাবি নিশ্চিত করে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’ এদিকে শুক্রবার কাইলার পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাইলা জীবিত আছেন বলে তারা মনে করেন এবং আমরা অপেক্ষায় আছি, আইএস অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। কাইলাকে আইএসের হাতে বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের শেষ জিম্মি হিসেবে মনে করা হয়। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তিন জিম্মি নাগরিককে শিরশ্ছেদে হত্যা করেছে গোষ্ঠীটি। এসব নিহতরা মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক ছিলেন। ২০১৩’র আগস্টে সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে কাইলাকে ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করেছিল আইএস।

No comments

Powered by Blogger.