গোপন বিয়ে ইমরান খানের

গোপনে বিয়ে করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তি, বর্তমানে তেহরিকে ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। তার এই স্ত্রীর নাম রেহাম খান (৪১)। তিনি বিবিসি’র আবহাওয়াবিষয়ক সংবাদ উপস্থাপিকা। আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে তার। সেই সম্পর্কে তিনি তিন সন্তানের মা। এক সপ্তাহ আগে তারা গোপনে বিয়ে করেছেন বলে পাকিস্তানে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করেছে লন্ডনের বহুল প্রচারিত পত্রিকা ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, এই জুটি ‘আইটেম’ হিসেবে ঘোরাঘুরি করেন। এখন থেকে ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ইমরানের। সেই জেমিমাই গত অক্টোবরে বলেন যে, তার সাবেক স্বামী ইমরান খান অচিরেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। পাকিস্তানে সুপরিচিত আরেক সংবাদ উপস্থাপক ফরহাদ জাভেদ রাব্বানি ২৭শে ডিসেম্বর টুইটারে লিখেছেন, একজন রাজনীতিবিদ আজ একজন সংবাদ উপস্থাপিকাকে বিয়ে করলেন। এ নিয়ে পাকিস্তানজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ বিষয়ে ইমরান খান বা রেহাম খান কারো মন্তব্য পাওয়া যায় নি। ডেইলি মেইল লিখেছে, ইমরান খানের বয়স এখন ৬২ বছর। সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ধরনের নাড়া দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, গত সপ্তাহান্তে তিনি উপস্থাপিকা রেহাম খান (৪১)কে বিয়ে করেছেন। রেহাম খান তার আগের বিয়ের সময় থেকেই বসবাস করেন বৃটেনে। তখন তিনি বিবিসি’র আঞ্চলিক সংবাদবিষয়ক প্রোগ্রাম ‘সাউথ টুডে’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, এর আগে ইমরানের প্রথম স্ত্রী জেমিমা তার নামের সঙ্গে ইমরান খানের পদবি খান ব্যবহার করে এতদিন বিচ্ছেদ হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পরিচয় দিতেন জেমিমা খান হিসেবে। কিন্তু তিনি যখন ইমরান খান নতুন করে শিগগিরই বিয়ে করছেন বলে জানতে পেরেছেন তখন তিনি বলেছেন, ইমরান নতুন করে বিয়ে করছে। তাই তার পারিবারিক ডাক নাম খান শব্দটি আমার নাম থেকে বাদ দিচ্ছি। এখন থেকে আমি জেমিমা খান নই। আমার নাম হবে জেমিমা গোল্ডস্মিথ। নববিবাহিত ইমরান-রেহাম খান এখনও বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন নি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তারা ইংরেজি নতুন বছরে বিয়ে করার এই ঘোষণা দিতে পারেন। ইমরান খানের এক পারিবারিক বন্ধু বলেছেন, ইমরান খানের বোনরা সহ অন্য আত্মীয়রা এ বিয়ের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ, রেহাম খান তিন সন্তানের জননী ও তালাকপ্রাপ্ত। তাদের বিরোধিতায় থামেন নি ইমরান। তিনি সবাইকে বিস্মিত করে ওই রেহামকেই বিয়ে করেছেন। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও শীর্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার ড. শাহিদ মাসুদ টেলিভিশনে বলেছেন যে, বিয়ের খবর ইমরান নিশ্চিতও করেন নি। আবার অস্বীকারও করেন নি। তাই তিনি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরানের প্রতি। পিটিআইয়ের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন যে, ইমরান খানের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে চাইছেন রেহাম খান। তিনি নিজেকে ভবিষ্যতের ফার্স্ট লেডি হিসেবে দেখছেন। তবে বিয়ের খবরে পাকিস্তানে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মিডিয়ায় এ নিয়ে তুলোধুনো করা হচ্ছে। তাতে রেহাম খানের পোশাক ও তার একটি স্বল্প বসন পরা ভিডিও জুড়ে দেয়া হয়েছে। এতে বিভিন্ন জন অবমাননাকর মন্তব্য করছেন। এর সুযোগ নিচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বিশ্বাস করেন, বিচ্ছেদপ্রাপ্ত এক নারীকে বিয়ে করার মাধ্যমে ইমরান খান তার বিশ্বাসযোগ্যতা, সৃষ্টিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। রেহাম খানের পিতা-মাতা পাকিস্তানি। তার জন্ম লিবিয়ায়। এর আগে তার বিয়ে হয়েছিল একজন ডাক্তারের সঙ্গে। সেই সূত্রে তিনি তিন সন্তানের মা।

No comments

Powered by Blogger.