ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাজ জুনে শেষ হবে -প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ আগামী জুনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অবকাঠামো নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে। রেল, সড়ক ও নৌপথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সারা দেশকে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। একসময় গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা থাকলেও এখন ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। দেশের ৬৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ একদিকে যেমন আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য আগের চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রস্তুতি নিতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।’ বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতালের নামে বাসে-সিএনজিতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এর নাম আন্দোলন না। এটা খুন। বাংলাদেশের মানুষ আর খুনের রাজনীতি দেখতে চায় না।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে  ফিতা কেটে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি অন্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি স্টলও ঘুরে দেখেন। এবারের বাণিজ্য মেলায় সব মিলিয়ে আছে ৫০০ স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০ ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা প্রবেশমূল্য। ৩১ জানুয়ারি মেলা শেষ হবে।

No comments

Powered by Blogger.