আলোচনার সুযোগ নেই : আওয়ামী লীগ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ বলেছে, এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। মধ্যবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। আজ বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। খবর বাসসের। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। তবে খালেদা জিয়া যতই চেষ্টা করুন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধাপরাধী ছাড়া যেকোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। তবে মধ্যবর্তী নির্বাচন কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে এ দেশে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। ২০১৯ সালে এ দেশে নির্বাচন হবে। এখন বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নয়। হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল বরাবরের মতো মিথ্যা আর ভুল তথ্যে ভরপুর। বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে মিথ্যা। মিথ্যাচার করা তাদের রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য তারা দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আলোচনা হতে পারে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। তবে সেই আলোচনায় যুদ্ধাপরাধী কিংবা জঙ্গিবাদী দলগুলোর সঙ্গে নয়। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেজন্য তারা (বিএনপি) ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে হবে। ৫ জানুয়ারি বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার আছে। সে ব্যাপারে আমরা কিছু বলবো না। তবে কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জঙ্গি তৎপরতা চালালে অবশ্যই সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে এ অবস্থায় জনগণের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বলবো, নতুন বছরে আপনি ভয়ানক ‘ডাইনি’ রূপে আবির্ভূত হবেন না। বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সরকার তার দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ উন্নয়ন খালেদা জিয়ার চোখে পড়ছে না অথবা জেনেও তিনি ভুল তথ্য তুলে ধরছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করতে তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) হত্যা অগ্নি সংযোগ ও মানুষ খুন করেছে। কিন্তু নির্বাচন বানচাল হয়নি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল বলেই দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত আছে। আবারও বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা শুরু করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জঙ্গি জামায়াতকে নিয়ে ২০ দলীয় জোট করে সে অপচেষ্টা আবার শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তারেকের বক্তব্যকে খালেদা জিয়া সমর্থন করে তিনি প্রমাণ করেছেন তারেককে সুশিক্ষা দিতে পারেননি। তবে তারেক রহমান ও খালেদার বক্তব্যে ইতিহাস বিকৃত হবে না। জনগণ ইতিহাস জানে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দী, একেএম এনামুল হক শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.