খুনের কথা স্বীকার করলো প্রেমিকা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রেমের দ্বন্দে খুন হয়েছে এক কিশোর। প্রেমিকার মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে খুন করা হয় । এ ঘটনায় উলিপুর থানা পুলিশ প্রেমিকা মৌসুমি আক্তার(১৪), জিয়াউর রহমান (২২) ও সোহাগকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে রাশেদের পরিবারসহ ওই গ্রামে শোকের মাতম চলছে। মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন উমানন্দ গ্রামের মজনু মিয়ার স্কুল পড়–য়া কন্যা মৌসুমি আক্তারের সাথে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের কলেজ পড়–য়া ছেলে জিয়াউর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে মৌসুমি মাঠিয়াল আর্দশবাজার গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র  রাশেদুল ইসলামের (১৫) সাথে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এতে ঈর্শ্বানিত হয়ে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে জিয়াউর রহমান মৌসুমির মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জরুরী কথা আছে বলে রাশেদকে বাড়ীর বাইরে ডেকে নেয়। রাশেদ সেখানে এলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মৌসুমির উপস্থিতিতে জিয়াউর রহমান ও সোহাগ রাশেদকে ছুরিকাঘাত করে। এতে রাশেদ গুরুত্বর আহত হয় তাকে প্রথমে চিলমারী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফাড করেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সোহাগ উমানন্দ আদর্শ বাজার গ্রামের বকুল মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় রাশেদের পিতা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন, মামলা নং-৩১, তাং-২৭/১২/১৪ ইং।  মৌসুমি আক্তার, জিয়াউর রহমান, সোহাগসহ সিদ্দিকুল ইসলাম (২০), মাহফুজার রহমান (২৫) ও সিদ্দিক (২২) কে  ২৭ ডিসেম্বর শনিবার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে বাদী ্ওই তিন জনের নামে মামলা দায়ের করায় পুলিশ বাকী ৩ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উলিপুর থানার এস.আই হাবিবুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মৌসুমি, জিয়াউর ও সোহাগ খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেছেন। কুড়িগ্রাম জেলার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উলিপুর থানার ওসি জমির উদ্দিন জানান, বাদীর এজাহার নামীয় আসামীদের আটক করে অপর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.