পটুয়াখালীতে উপ মহাদেশের প্রথম পানি জাদুঘরের যাত্রা শুরু

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাখিমারা গ্রামে নির্মিত হলো উপ মহাদেশের প্রথম ‘পানি জাদুঘর’।  সোমবার সকালে এ জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। নদী দখল ও পানি দূষণ কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নির্মিত হয় এই পানি জাদুঘর।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, একশন এইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, শমসের আলী, উন্নয়ন সংস্থা আভাস’র নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ. মোতালেব তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান আ. মালেক খান। আভাস’র প্রকল্প কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উনন্নয়ন কর্মী জয়নাল আবেদীন, হাওয়া বেগম, লাইলী বেগম প্রমুখ।
জাদুঘরে কাঁচের জারে সারিবদ্ধ করে রাখা দেশের প্রধান পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, কীর্তনখোলা, পায়রা, বুড়িগঙ্গা, গড়াই, হালদা, মেঘনা  নদী ও টিউবওয়েলের পানি সংগ্রহ ছাড়াও ছবির ফ্রেমে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড.ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশের বিভিন্ন বহমান নদীতে ড্যাম নির্মাণ ও দখলের কারণে নদীর ¯্রােত থেমে যাওয়ায় পলিমাটি নদীর পানির সঙ্গে যেতে না পেরে থেমে যাচ্ছে। এ কারণে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই এই মৃত প্রায় নদীগুলোকে রক্ষার জন্যই এ পানি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ জাদুঘরে এক পলকে দেখা যাবে সারা বাংলাদেশের নদী। এছাড়া ছবির ফ্রেমে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি।
একশন এইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, তাদের লক্ষ দেশের নদী ও নদী সম্পদকে রক্ষা করা। উপমহাদেশে এই প্রথম নদী নিয়ে গভেষনা করার জন্য কোন পানি জাদুঘর নির্মিত হয়েছে। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা জাদুঘর ঘুরে দেখেন।

No comments

Powered by Blogger.