অমিত শাহর বিরুদ্ধে মামলা করবে তৃণমূল

ভিত্তিহীন মন্তব্যের দায়ে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস।
এ ব্যাপারে সংসদের নথি হাতে পাওয়ার পরেই তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৩০ নভেম্বর কলকাতায় এসে বিজেপির সভা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, সারদার আমানতকারীদের যে টাকা নয়ছয় হয়েছে, তার একটা অংশ ব্যবহার হয়েছে বর্ধমান বিস্ফোরণে।
বিজেপিসহ নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছিল সারদার টাকা বাংলাদেশের জঙ্গি তহবিলে গেছে। রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে এসব অভিযোগ করা হচ্ছিল।
রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বিজেপির অন্যতম অভিযোগ হল, তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য আহমদ হাসান ইমরান সারদার টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছেন। সেই টাকা জামায়াতে ইসলামীর হাতে গেছে। বর্ধমান বিস্ফোরণে জামায়াত জড়িত। ফলে সারদার সেই টাকা বাংলাদেশ হয়ে বর্ধমানে এসেছে। কিন্তু ৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে বলেছেন, তদন্তে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা থেকে বলা পারে সারদার টাকা বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই টাকা বর্ধমানে এসে পৌঁছেছে, এমন কোনো খবর নেই।
তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়সহ অন্যরা অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং এখন বলছেন, আমরা যে অভিযোগ করেছি তা মূলত মিডিয়ার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে এই প্রশ্নও উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের থেকেও অমিত শাহর কাছে কি বেশি তথ্য আছে? যদি না-ই থাকে তাহলে তার কাছে কীভাবে তথ্য গেল যে, সারদার টাকা বাংলাদেশে গেছে?
তার কাছে কি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই জানতে চাইবে তিনি ওই তথ্য কোথায় পেলেন?
তৃণমূলের সিনিয়র নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, সংসদে কে কী বলল, তা নথিভুক্ত হয়। আমরা সেই নথি হাতে পাওয়ার পর দেখব, মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং অমিত শাহের উল্টো কথা বলেছেন কিনা। শুনেছি উল্টো কথাই বলেছেন। যদি তা হয়, তাহলে আমরা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। দ্য হিন্দু।

No comments

Powered by Blogger.