‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে’

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের হেড অব ডিভিশন পাওলা পামপালনি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার গণতন্ত্র খুবই নাজুক ও হতাশাজনক; তাই  রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বুধবার ইউরোপিয়ান কমিশন ইউকের নিজস্ব কার্যালয়ে ওভারসিজ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন ‘বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ইউকে’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। পাওলা পামপালনি বলেন, যেসব গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ও রাজনৈতিক নির্যাতন বাংলাদেশে চলছে তা অচিরেই বন্ধ না হলে বর্তমান সরকারকে কঠিন সময় পার করতে হবে। কারণ বহিবিশ্ব এই বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখেছে।
বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ইউকে’র চেয়ারপার্সন আতা উল্যাহ ফারুকের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউরোপিয়ন কমিশনের রাজনৈতিক কর্মকর্তা জায়ানা ক্রুস সেলিং। তিনি বলেন,
বাংলাদেশ বর্তমানে গার্মেন্টস সেক্টর থেকে শুরু করে অনেক দিকে উন্নয়ন করেছে। তাই সরকারের কাজ হবে কোন অরাজকতা সৃষ্টি না করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করা। তিনি বলেন, গুম, খুন কখনোও দেশের সুফল বয়ে আনতে পারেনা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এটা সুখকর নয়।
সেমিনারে ইউরোপিয়ান কমিশন কর্মকতারা বলেন, ক্ষমতার মোহে সরকার জনগণের মৌলিক অধিকারের তোয়াক্কা না করায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। তাই দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দুই দলের মতৈক্যে পৌঁছা উচিত। বাংলাদেশী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন’ ইউকে’র চেয়ারপার্সন আতা উল্যাহ ফারুক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। সেমিনারে আরোও বক্তব্য রাখেন অ্যালেসআন্ডারা ভোটা, কেইলি গ্যালার, এস এইস সোহাগ, খালেদ পাভেল, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.