সান্ত্বনার জায়গা ‘আদালত-এ-আখেরাত’ by মাসুদ মজুমদার

আমরা আরো একটা রায় পেলাম। রায় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ বলছেন ন্যায়ভ্রষ্ট, কারো মত রাজনৈতিক ফয়সালা, বিচার নয়। এই বিতর্ক চলবে দীর্ঘ দিন। আজ বেশি করে মনে পড়ছে কৃষ্ণসুন্দর ম্যান্ডেলার কথা। কারাগারে কাটিয়েছেন প্রায় তিন দশক। শ্বেতাঙ্গরা বিজয়ী হলে তার বিচার কিভাবে হতো, তা ভাবতে চেষ্টা করেও কূলকিনারা পাই না। ম্যান্ডেলা নন্দিত নেতা। মুকুটহীন সম্রাটের মতো বিদায় নিয়েছেন। তিনি যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যৌবন শেষ করে মধ্য বয়সও পার করে দিয়েছিলেন, তিনি অমর হলেন প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ থাকার পরও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেই। শাসন করার সুযোগ থাকার পরও সেই সুযোগ ব্যবহার না করার জন্য নন্দিত হয়ে থাকলেন। এ জন্যই বলা হয়, পরিণত সময়ের বিচার সবাই মেনে নেয়; শাসকের বিচার শাসিতেরা মানে না। তবে ‘বিচার’ শব্দটিকে ভুল বোঝার কোনো কারণ নেই। তাই বলে অবিচারকে সমীহ করার মধ্যেও কোনো নৈতিক যুক্তি নেই।
প্রফেসর রাজিয়া আক্তার বানু বিদেশে পিএইচডি করেছেন ইসলামভিত্তিক রাজনৈতিক ভাবনার ওপর। খ্যাতিমান এই রাষ্ট্রচিন্তক ছিলেন দেশের মনীষীতুল্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর তালুকদার মনিরুজ্জামানের সহধর্মিণী। ক’বছর আগে মারা গেলেন। একই সময়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। অবশ্য দু’জন দুই বিভাগে। তবে জানাশোনা ছিল। একবার দুঃখ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর মধ্যে অধ্যাপক গোলাম আযম সবচেয়ে বেশি মিস আন্ডারস্টুড। তার ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধা করেন অতুলনীয়ভাবে। ভালোবাসেন অখণ্ড হৃদয় উজাড় করে। তাদের কারো কারো ধারণা, তিনি রাজনৈতিকভাবে কিংবা ঠাণ্ডা মাথায় কোনো ভুল করতে পারেন না। তা ছাড়া ভুল করে ভুল করলেও জেনেবুঝে ঠাণ্ডা মাথায় ভুল করা ও পাপকাজ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। আবার যারা তাকে অপছন্দ করেন কিংবা ঘৃণা করে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে চান, তারা ভাবেন তিনি সিম্বল অব কলাবরেটর। দালালদের শিরোমণি। তিনি যেন একাত্তরের পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার সব পাপ হজম করে নীলকণ্ঠি হয়ে গেছেন। তাকে মূল্যায়ন করার জন্য মাঝখানে যেন কোনো জায়গা নেই। অথচ কোনো মানুষই ভুলত্রুটি ও ভুলভ্রান্তির ঊর্ধ্বে নন।
আমরা পেশাদার সাংবাদিক। দুই পিঠ দেখা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব ও বৈশিষ্ট্য। তা ছাড়া মানুষকে শুধু দোষী ভেবে অগ্রসর হলে পুলিশি উপসংহার মিলবে। পৃথিবীতে কোনো ভালো মানুষের সন্ধান মিলবে না। তাতে শুধু অপরাধ দেখা যাবে। অন্য দিকে নির্দোষ ধরে এগোলে ম্যাজিস্ট্রেসি উপসংহারে পৌঁছা যাবে। সাক্ষী-সাবুদে দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিচার করাও সহজ হবে। দোষেগুণে মানুষ অধ্যাপক আযম দেশের একজন নন্দিত, একই সাথে তীব্র ও নিষ্ঠুর ভাষায় আক্রান্ত এবং সমালোচিত রাজনৈতিক নেতা। একাত্তরের কলঙ্কতিলক পুরোটাই যেন তার একক ললাটের লিখন। আবার একাত্তর-পূর্ব জীবনে তিনি একজন বর্ণাঢ্য অসাধারণ রাজনৈতিক চরিত্রের মানুষ। ভাষা আন্দোলনের সংগঠকদের একজন। ডাকসুর জিএস হিসেবে ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা ক্যাটালিস্টের মতো। ব্যক্তিজীবনে অধ্যাপনা করলেও প্রথমে তমদ্দুন মজলিস, পরে তাবলিগ জামাতকে পছন্দ করে কাজ করেছেন। শেষে জড়িয়ে পড়েন জামায়াতে ইসলামীর সাথে।
আমরা যারা সত্তরের দশকের শুরু থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়েছি, তারা ষাটের দশকের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারও বটে। ডান-বাম সবাই জানতাম, দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনের কাতারের যেসব চেনা মানুষ ছিলেন অধ্যাপক আযম তাদের মধ্যে অন্যতম। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ডাক-পিডিএমসহ সব গণতান্ত্রিক মোর্চায় তার উপস্থিতি ছিল দৃষ্টিগ্রাহ্য। সে সময় জামায়াত দল হিসেবে এতটা আলোচিত ছিল না, সমালোচিতও ছিল না। অধ্যাপক আযম যেন জামায়াত গণ্ডির ঊর্ধ্বে একজন গ্রহণযোগ্য ঐক্যপ্রয়াসী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। কওমি ধারার অনেক আলেম মাওলানা মওদূদীর কিছু লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন, কিন্তু অধ্যাপক আযমের আমল-আখলাখ এবং শিষ্টাচারকে সব শ্রেণীর আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ সমীহ করতেন। একজন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আমাকে বলেছিলেনÑ এই লোকটাকে আগে সালাম দেয়া যায় না। আমরা বাম ধারার ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত থেকেও শুনেছি, দেশের বরেণ্য ও সুশীল রাজনীতিবিদদের মধ্যে অধ্যাপক আযম সব সময় আলোচনায় থাকতেন। এ ব্যাপারে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদেরও সুনাম ছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছিলেন তিনি। আরো অনেকের সাথে তাকেও পাকিস্তান সমর্থনের জন্য এই দায় নিতে হয়েছে। অধ্যাপক আযম নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যত অভিযোগ তোলা হয়েছে, সবগুলো নাগরিকত্ব বিষয়ক মামলায় তোলা হয়েছিল। তার আইনজীবী খ্যাতিমান ব্যারিস্টার ইউসুফ সব খণ্ডন করে তার জন্মগত অধিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করে বিজয়ী হয়েছেন। সেই সময়কার বিচারকেরা স্কাইপ, রায় ফাঁস ও মুসাবিদা করা রায়ের জন্য অভিযুক্ত ও সমালোচিত হননি। তারা বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত হিসেবেও পরিচিত হতেন না। অভিযোগ ওঠেনি বিহারি বা উর্দুভাষী কসাই কাদেরকে কাদের মোল্লা, দেলু সিকদারকে তথা দেইল্যা রাজাকারকে দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী সাজানোর। বৈরী সাক্ষী সুখ রঞ্জন বালি নিখোঁজের মতো ঘটনাও শোনা যায়নি।
আমরা সবাই যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়েছি। এখনো চাচ্ছি। কিন্তু সেই বিচার পাইনি। দুর্ভাগ্য, ১৯৫ জন চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে জামাই আদরে ত্রিদেশীয় চুক্তিবলে ছেড়ে দেয়া হলো। অথচ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করে তাদের রাজনৈতিক সহযোগীদের বিচার শুরু করা হলো। আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধেরও বিচার চাই। হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য পাপের সাথে জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত। যারা ইসলাম মানেনÑ তাদের আরো বেশি জোরগলায় এসব অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিচার চাওয়া উচিত। তবে বেনিফিট অব ডাউট এবং হাজার অপরাধী ক্ষমা পেয়ে গেলেও একজন নিরপরাধ মানুষ যাতে শাস্তি নামের জুলুমের শিকার না হন, সেই নিশ্চয়তা অভিযুক্তকে পেতেই হবে। এখন রাজনৈতিক জিঘাংসার অভিযোগ উঠল, আইনটি দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হলো। বিচারপ্রক্রিয়ার মাঝপথে আইন সংশোধন করা হলো। তাতে রায়গুলোও বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা সম্ভব হলো না। পুরো বিষয়টি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে। রায় দেয়া, শাস্তি বাড়ানো এবং রায় ঝুলিয়ে রাখা নিয়ে পুরো জাতি বিরক্ত ও সন্দেহপ্রবণ হতে বাধ্য।
একাত্তরে জামায়াত যে রাজনৈতিক ভুল করেছে, সেটা প্রমাণিত। কোনো যুক্তিতেই তার সাফাই গাওয়া যায় না। এই ভুল ভুলই। সম্ভবত জামায়াতও তা মেনে নিয়েছে। নয়তো ট্রাইব্যুনাল ও প্রসিকিউশনকে সাহায্য করে এত দূর এগোত না। তারাও বিচার চেয়েছে। না চাইলে আইনের আশ্রয়ে যেত না। আপিলের দ্বারস্থ হতো না।
মানুষ কখনো ষোলোআনা বিচার নিশ্চিত করতে পারে না। তা ছাড়া মানুষের আদালত প্রভাবিত হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে। শাসকের ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করে। তাই সবার সান্ত্বনার একমাত্র জায়গা ‘আদালতে-এ-আখেরাত’। তা ছাড়া মৃত্যু সমতা এনে দেয়, এই সূত্র অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজনীতিতে অধ্যাপক গোলাম আযম এখন আর কোনো জীবন্ত ইস্যু নন। ইতিহাস তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে, সেটা সময় জানিয়ে দেবে। বিজয়ীর ইতিহাস লেখা ও শাসকের মর্জিমতো বিচার ইতিহাস কখনো মেনে নেয় না। করলে ুদিরাম, প্রীতিলতা, সূর্যসেন, হাবিলদার রজব আলী, তিতুমীরÑ সবার নাম উঠত সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদীর তালিকায়। অথচ তাদেরকে আমরা স্মরণ করি, বরণ করি দেশপ্রেমের মানদণ্ডে। তাদের কৃত ‘অপরাধের’ মানদণ্ডে নয়।
চেয়ারম্যান মাও বলতেন, বিপ্লব ধ্বংস নয়, সৃষ্টির প্রসববেদনা। সব যুগেই বিপ্লবী ও স্বাধীনতাকামীরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে কিছু বাড়াবাড়ি করেছেন। সেটা বিজয়ীর খাতায় দেশপ্রেম, পরাজিতের খাতায় অপরাধ। এ জন্যই একটা সময় অতিক্রম করে ইতিহাস থিতু না হলে কোনো মূল্যায়নই যুক্তির কষ্টিপাথরে টিকে যায় না। আজকের সময়টাও নিরপেক্ষ ইতিহাস চর্চার জন্য যুৎসই নয়। তাই অতি ঘৃণা ও অতি আবেগাশ্রয়ী শ্রদ্ধার একটা মিশ্রিত অবয়ব নিয়ে কে খলনায়ক, কে প্রকৃত নায়ক সেটা এই মুহূর্তে জাতির সামনে উঠে আসবে না। কে জীবন্ত কিংবদন্তি হবেন, কে হবেন গাদ্দার তাও সময়ের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, আরব জাহানজুড়ে অধ্যাপক আযমকে ভাবা হচ্ছে ‘ওস্তাদ’। ইউরোপ-আমেরিকায় তার ইমেজটা ‘রাজনৈতিক দার্শনিকের’ মতো। স্বদেশে ভক্তদের কাছে তিনি ‘প্রফেসর সাহেব’, তবে তিনি কথিত ধর্মীয় নেতা ছিলেন না। স্মরণে পড়ে একবার মাওলানা আলাউদ্দীন আল আজহারীর বাসায় গিয়েছিলাম। এই আলেমে দ্বীন ছিলেন সর্বজন গ্রহণযোগ্য আরবি ভাষার পণ্ডিত। অধ্যাপক আযমের ভগ্নিপতি হলেও দলীয় রাজনীতিতে তার কোনো সংশ্রব ছিল না।
ব্যক্তিগত পরিচয় ছাড়াও আজহারীর সাথে জানাশোনা ছিল। অধ্যাপক আযমের লাগোয়া বাসায় থাকতেন। নামাজ পড়তেন একই মসজিদে। একবার তার সাথে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়ে দেখি শ্বেতশুভ্র শ্মশ্রুমণ্ডিত ব্যক্তিত্বের আভায় ঠিকরে পড়া অধ্যাপক আযম মসজিদে ঢুকলেন। তাকে দেখে পেশ ইমাম সশ্রদ্ধচিত্তে নামাজের ইমামের জায়গায় এগিয়ে দিলেন। যথারীতি নামাজ পড়িয়ে নীরবে চলে গেলেন। তার সাথে বেশ ক’জন প্রবাসী দেখা করার জন্য তখন অপেক্ষা করছিলেন তার মসজিদ লাগোয়া অফিসে। মসজিদের সামনে দাঁড়ানো দেখলাম পাঁচ-ছয়জন মহিলা। সবার হাতে গ্লাসভর্তি পানি। জানলাম তারা পানিপড়া নিতে এসেছেন ইমাম সাহেবের কাছে। কারণ, সবাই জানতেন তিনিই ধর্মীয় নেতা। আর অধ্যাপক আযম ভিন্ন ধরনের নেতা। তাবিজ-কবজ ও পানিপড়া দেয়ার মর্জি ও ফিতরাত সম্ভবত কোনোটাই তার ছিল না। অধ্যাপক আযম স্মৃতিকথা লিখেছেন, তার প্রকাশনার সংখ্যাও কম নয়। তার লেখাজোখা নিয়ে কখনো কোনো বিতর্ক শুনিনি। তার স্মৃতিকথা প্রতিপক্ষও অবস্তুনিষ্ঠ বলে না।
আজ বারবার মনে পড়ছে, আমরা যদি একজন ম্যান্ডেলা পেতাম তাহলে একটা বিভক্ত জাতিকে এক করে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতাম। কারা যেন আমাদের কোনো মত ও ধারারই জাতীয় নেতাদের ম্যান্ডেলার মতো হতে দেয় না। তাই বিভেদ ভুলে সাদা-কালো একাকার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ার মতো সুযোগও সৃষ্টি হয় না। নতুন প্রজন্মকে আমরা বুঝতে চাই না। এরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে চান। দুর্ভাগ্য, তাদের জন্য আমরা সঠিক ইতিহাস চর্চার সুযোগ রাখিনি। এখনো স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্ক চলে, শহীদ সংখ্যা নিয়ে এন্তার প্রশ্ন। এ কে খন্দকাররা পাকিস্তানি চর হয়ে যান। জিয়া, জলিলসহ অনেকেরই অবদান অবজ্ঞার চোখে দেখতে বাধ্য করা হয়। অথচ তাদের সামনে একটা নির্মোহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরলে এমনটি হতো না। এখন একটা মিথ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই যেন আমাদের মূল কাজ। তাই মওসুমি শাহবাগ জাগে, কিন্তু টিকে থাকে না। এ দেশে জাতীয় নেতাদেরও আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে ঔদার্যের ভরসা জোগাতে পারি না। এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিন্তানি চর ভাবা হয় অথচ প্রজাতন্ত্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। মৃত্যু মানুষের অবস্থান সমতল করে দিলেও আমরা মাটি খুঁড়ে বিভেদের কীটগুলো তুলে আনি। সম্ভবত শাসন, শোষণ ও আগ্রাসনের জন্য এখনো ‘ভাগ করো, শাসন করো’ নীতির ভেতরই আমাদের আজন্ম বসবাস। আমাদের জীবিত ও মৃত কোনো নেতাই যেন এই বিতর্কের বেষ্টনী অতিক্রম করতে না পারেনÑ সেটাই যেন আমাদের দেশপ্রেমের সবক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিশ্বাসী মন সান্ত্বনা পাওয়ার জন্য শেষ বিচার তথা আরশের প্রভুর ফায়সালার জন্য অপেক্ষা না করে কোনো উপায় নেই।

No comments

Powered by Blogger.