উন্নয়নের আশ্বাস বা চমক সাংবিধানিক অনৈক্যের সমাধান নয় by মোস্তফা কামাল মজুমদার

স্বনামধন্য প্রধান বিচারপতি মুস্তফা কামাল তখনো সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চে যোগ দেননি। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মুস্তফা কামাল হিসেবেই খ্যাত। এক দিন মহাখালীর পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি নির্দিষ্ট আসনে বসা সাংবাদিকদের দিকে এগিয়ে এসে কিছুণ মতবিনিময় করেন। তখন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনকাল কেবল শুরু হয়েছে। ব্যারিস্টার মুস্তফা কামাল মন্তব্য করলেন এ দেশের মানুষ রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থার সাথে তেমন পরিচিত নয়। এখানকার ঐতিহ্য হলো সংসদীয় ব্যবস্থা। সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে যার শুরু। উপস্থিত একজন সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘যে দেশে পার্লামেন্ট নিজের কর্তৃত্ব বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করে সে দেশে সংসদীয় ঐতিহ্যের কথা কতটুকু খাটে।’ তখনকার বিজ্ঞ এই আইনবিদ তার কোনো উত্তর দিতে পারলেন না। যে খানিকটা উৎসাহ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করতে এসেছিলেন তা আর থাকল না। তিনি গিয়ে তার নিজস্ব আসন গ্রহণ করলেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থার প্রবর্তক ছিলেন না। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রবর্তিত ব্যবস্থার কিছু হেরফের করে বহুদলীয় প্রথা পুনঃপ্রবর্তন করে দেশ চালাচ্ছিলেন। সেই ব্যবস্থা ১৯৯০ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনাবসান পর্যন্ত চালু ছিল।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করার পর সর্বসম্মত দ্বাদশ সংশোধনী পাস করার মাধ্যমে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা আবার চালু হয়। তবে বিচার বিভাগ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পাস হওয়ার পর যে অনেকটা স্বেচ্ছা-নিয়ন্ত্রণের আইনগত কাঠামোতে ছিল সেখানেই থেকে যায়। ১৯৯১ সালে অনেকে মনে করেছিলেন বিএনপি রাষ্ট্রপতিব্যবস্থা টিকিয়ে রাখবে। কারণ জিয়া প্রবর্তিত এই দলের গঠনতন্ত্র ছিল খোলাখুলিভাবেই রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থার পরে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম মন্ত্রিসভা গঠন করেন তখনো অনেকে মনে করতেন তিনি সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ডাকবেন। কিন্তু তত দিনে বিএনপি নেতৃত্বে চিন্তার পরিবর্তন ঘটে গেছে। বাস্তববাদী নেতারা বললেন, সরকার যেহেতু আমরা গঠন করে ফেলেছি, আরেকটা সরাসরি নির্বাচনের রিস্ক নিয়ে লাভ কী? তারচেয়ে ভালো সংসদীয়ব্যবস্থা আবার চালু করা। কারণ এমন অবস্থায় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিও বিএনপিরই হবেন। হলোও তাই। তখন থেকে যে দল মতায় আসে সে দলের প্রার্থীরাই প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন।
তবে সংসদীয়ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রের কোনো অঙ্গ সার্বভৌম এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে দুই রকম ব্যাখ্যা পাওয়া যেত। রাজনীতিকেরা সব সময় বলে এসেছেন সংসদ সার্বভৌম। অন্য দিকে বর্তমান লেখক একাধিক প্রধান বিচারপতির মুখে বলতে শুনেছেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান সম্পর্কে শেষ কথা বলার অধিকার যাদের দেয়া হয়েছে তারাই তো সার্বভৌম। বিচার বিভাগ যেহেতু সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদান এবং নির্বাহী বা আইন বিভাগের কোনো কাজ সাংবিধানিকভাবে সঠিক কি না তা নির্ধারণের মতাপ্রাপ্ত, সেহেতু অন্য কোনো বিভাগ সার্বভৌম কী করে হয়। সম্প্রতি ১৬শ সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর তাদের মধ্যে চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে কি না জানা যায়নি। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের মতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রবর্তিত সংবিধানে এই বিধান ছিল। বর্তমান সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ৯৬ আগের মতো করে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। বিধানে আছে, প্রমাণিত অসদাচরণ বা অযোগ্যতার কারণে সংসদের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের কম নয় এমন সমর্থন নিয়ে পাস করা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির দেয়া আদেশ ছাড়া কোনো বিচারপতিকে তার অফিস থেকে অপসারণ করা যাবে না। অসদাচরণ বা অযোগ্যতার তদন্ত ও প্রমাণ এবং সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণের প্রক্রিয়া সংসদ নির্ধারণ করতে পারবে একটা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে। জানা গেছে, ওই আইন প্রণয়নের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
১৯৭৯ সাল থেকে ১৬ শ’ সংশোধনী পাস করার আগ পর্যন্ত বিচারপতিদের ব্যাপারে এ ধরনের তদন্ত ও সুপারিশ করার ভার ন্যস্ত ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর। প্রধান বিচারপতি এবং পরবর্তী দুই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান ছিল। সংবিধানের ১৫ শ’ সংশোধনী পাস করার মাধ্যমেও বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত পরিবর্তন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অবসান। যে কারণে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু দল ও গোষ্ঠী অংশ নেয়নি। এ নিয়ে তুমুল আন্দোলন হয়েছে। সে একই ইস্যুতে আবার আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগও জাতীয় পার্টির তুমুল আন্দোলনের পরিপ্রেেিত। সেই আন্দোলনের সাথে তখন জামায়াতে ইসলামীও সক্রিয় ছিল। ১৯৯১ সালে সর্বসম্মত দ্বাদশ সংশোধনী পাস হওয়ার আগে জামায়াত প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে লিপিবদ্ধ করার জন্য সংসদে একটি বেসরকারি বিল জমা দিয়েছিল, যা তখন গৃহীত হয়নি। বর্তমানে দলটি ওই ব্যবস্থা পুনঃরুদ্ধারের জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সাথে আন্দোলনে জড়িত রয়েছে। সংবিধানে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব সংসদীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতীতের গ্লানি মুছে দিয়ে তখন থেকে নির্বাচিত সব সংসদ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছে। প্রত্যেক নির্বাচনের পর প্রধান বিরোধী দল ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জনমতের চাপে তা পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট স্থিতিশীলতার জন্য মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে যে শক্তিশালী মৌলিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে তা সৃষ্টি হয় এ সময়েরই ব্যবধানে।
১৯৯১ সালের সর্বসম্মত দ্বাদশ সংশোধনী পাস হওয়ার পর শুধু দেশের ভেতরেই নয় বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের মধ্যেও নতুন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজ মাতৃভূমিতে বাসস্থান নির্মাণ এবং তাদের মধ্যে অনেকে এমনকি ব্যবসায় ও বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে শুরু করে। ২০০৭ সাল থেকে এই অবস্থার আবার পরিবর্তন হতে থাকে। বর্তমানে সাংবিধানিক অনৈক্যের জন্য সৃষ্ট রাজনৈতিক বিভেদ বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার পর্যায়ে চলে এসেছে। একপ অন্যপকে নির্বাচনে মোকাবেলার পরিবর্তে পরস্পরকে প্রতিহত ও উৎখাতের কথা বলছে। একপ অন্যপকে জঙ্গিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে তার নির্মূলের ডাক দিচ্ছে। অন্যপ অভিযোগ করছে তাদের প্রতিপ গুম, খুন, অপহরণের রাজনীতি করে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমন পারস্পরিক আস্থাহীনতার পরিবেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে অনেক গুণ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের মানুষ একে অপরের প্রায় সব খবর রাখেন। বুকে হাত দিয়ে বলুন, আমরা কি আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে সাথে অনেক প্রবাসী আত্মীয়স্বজনের খবরাখবর রাখি না? প্রবাসীরা এখন নিজ দেশে যেকোনো বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। কোনো পরিবারের সদস্যরা যখন কলহে লিপ্ত হয় তখন তারা শুধু নিজেদের সর্বনাশই ডেকে আনে না, পরিবারের পোষ্যদেরও গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে দেয়। এমন অবস্থায় তাদের স্বজনেরাও অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেন। কলহ মিটিয়ে দিলেই এমন অনাকাক্সিত অবস্থার অবসান হতে পারে। অন্য বিছুতেই নয়। রাষ্ট্রকে একটা বৃহৎ পরিবারের সাথে তুলনা করা যায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ১৯৯১ সালে সর্বসম্মত সংবিধানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছেন। এখন কেন সর্বসম্মত অবস্থানে আসতে পারবেন না? এমন অবস্থানে ফিরে যেতে এবং পারস্পরিক আস্থার পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের জন্য একে অন্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করার সর্বনাশা পথ পরিহার করতে হবে, একে অন্যকে সম্মান করতে হবে। কারণ সম্মান করলেই প্রতিদানে সম্মান পাওয়া যাবে। আর পারস্পরিক সম্মান সমুন্নত রাখার মাধ্যমেই গণতন্ত্র রা করা সম্ভব, অন্য কোনোভাবে নয়।
এ কথা মনে রাখা দরকার, সাংবিধানিক অনৈক্য থেকেই বর্তমান আস্থাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তার সমাধান একমাত্র সাংবিধানিক ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যেই নিহিত। এই বিষয়টিকে আমলে না নেয়ার কারণে অতীতে অনেক অঘটন ঘটতে দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করেন উন্নয়নের বন্যা দিয়ে জাতীয় অনৈক্য অতিক্রম করা সম্ভব; কিন্তু অতীতে সব সময় এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এ ধারণা থেকে প্রচুর উন্নয়নের কাজ করেছিলেন। মতা ছেড়ে দেয়ার এক বছর আগেও মহাআড়ম্বরে উন্নয়নের এক দশক পালন করেছিলেন; কিন্তু সাংবিধানিক অনৈক্যের জন্য ভেঙে যাওয়া মানুষের মনকে তিনি জোড়া লাগাতে পারেননি। সে কারণে প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পরও সংবিধান রচনা করতে করতেই সাবেক পাকিস্তান ভেঙে গেল এবং বাংলাদেশের মানুষ শেষতক সাংবিধানিক আওতায় অধিকার আদায়ের ভরসা না পেয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের পথ বেছে নিতে বাধ্য হলো। সেনাপতি আইয়ুব খান সাংবিধানিক অনৈক্যের সূচনা করেছিলেন পাকিস্তান সৃষ্টির ৯ বছর পর প্রণীত এবং সব মহল কর্তৃক অনুমোদিত ১৯৫৬ সালের গণতান্ত্রিক সংবিধান বাতিল করার মাধ্যমে। সাংবিধানিক ঐক্য না থাকলে রাষ্ট্রের সাথে মানুষের সম্পর্কের চিড় ধরে। কারণ মানুষ তখন আর রাষ্ট্রকে সামাজিক চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্ট এবং দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান মনে করেন না। রাষ্ট্রও স্বেচ্ছা-সম্মতির আনুগত্য থেকে বঞ্চিত হয়ে বল প্রয়োগের মাধ্যমে আনুগত্য প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টা করে। গণতন্ত্রে এটা কারো কাম্য নয়।
গণতন্ত্রের একটা অবশ্য পালনীয় শর্ত হচ্ছে মানুষ সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করা এবং সব মানুষের সাম্য মেনে নেয়া। মানুষ স্বভাবজাতভাবে ভালো, এমন ধারণা পরিহার করলে গণতন্ত্র হয় না। সহনশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় না। সাধারণ মানুষ ভালো না হলে পার্থিব সব মতার উৎস হবেন কী করে? শুধু জনগণের নামে নয়, জনগণের সাধারণ ইচ্ছার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত না হলে গণতন্ত্র হতে পারে না। নির্বাহী বিভাগের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে তাদের নিয়ন্ত্রক মনে না করলে সাধারণের অধিকারের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল কখনো হয় না। ইদানীংকালের বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে তার প্রমাণ মিলবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষ আমরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। যুক্তরাষ্ট্রের বড়মাপের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গ বক্তৃতার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে আমরা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়ে থাকি; কিন্তু সরকার জনগণের জন্য হলেও কখনো জনগণের দ্বারা পরিচালিত হয় না। সরকার পরিচালিত হয় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা। প্রতিনিধিত্বশীল সরকারই গণতান্ত্রিক সরকার। জনগণের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, সব মহল ১৯৯৬ সালের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রের পথ সুগম করবেন এবং এই প্রশ্নে সৃষ্ট সাংবিধানিক অনৈক্য দূর করবেন। সাধারণ মানুষ অসহনশীলতায় ভরপুর, অস্থিতিশীলতা চায় না। তারা চায় অসহনশীলতার বিপরীতে সহনশীলতা, আস্থাহীনতার বিপরীতে আস্থাশীলতা।
লেখক : সাংবাদিক, ইংরেজি দৈনিক গ্রিনওয়াচ ঢাকা অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক

No comments

Powered by Blogger.