২৬শে অক্টোবর সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের আলটিমেটাম

আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিচারের দাবিতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। তবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় ১১টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী দলের ব্যানারে। এ সমাবেশ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন বক্তারা। অন্যথায় ২৬শে অক্টোবর সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করবে তারা। গতকাল জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু হয়। প্রথমে পুলিশ মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। তারা জুতা এবং ঝাড়ু হাতে নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দাবি করে। এ সময় দৈনিক বাংলার মোড় থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একই ইস্যুতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, মাদ্‌রাসা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মুজাহিদ পরিষদ, খেলাফত মজলিস মিছিল সমাবেশ করেছে। বিকালে আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ করে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন। এছাড়া লতিফ সিদ্দিকীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ তরিকত  ফেডারেশনের মহাসচিব এমএ আউয়াল। সম্মিলিত ইসলামী দলের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, যুগ্ম মহাসচীব ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম, মুফতি আজিজুর রহমান আজিজ, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, অধ্যাপক মাওলানা আবদুস সবুর মাতুব্বর প্রমুখ। মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ঈমান-আকিদা, পবিত্র হজ নিয়ে বিষোদগার এবং মহানবী (সাঃ) নিয়ে কটূক্তি করে লতিফ সিদ্দিকী নাস্তিক-মুরতাদদের কাতারে শামিল হয়েছেন। ওলি-আউলিয়াদের এই পবিত্র জমিনে কোন নাস্তিক- মুরতাদের স্থান হবে না। তিনি আগামী ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে আত্মস্বীকৃত মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় ২৬শে অক্টোবর তৌহিদী জনতা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে বলে ঘোষণা দেন।

ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, প্রিয় নবীজীর (সাঃ) সম্মান  ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ কোরবানি করতে প্রস্তুত। ‘কোন ঈমানের দাবিদার মহানবীর (সাঃ) জীবন অপেক্ষা নিজের জীবনের অধিক মর্যাদা দিতে পারে না’। তিনি বলেন, কোন অশুভ শক্তির খুঁটির জোরে লতিফ সিদ্দিকী রাসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখালেন তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। সরকার তাকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বহিষ্কার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের এ ষড়যন্ত্র কোনভাবেই মেনে নেবে না। তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এমএ আউয়াল এমপি বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিদ্যমান আইনেই তার বিচার সম্ভব। আমরা লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

No comments

Powered by Blogger.