জেনেভায় ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণ জাতিসংঘের

সিরিয়াবিষয়ক জেনেভা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার এসব আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। তবে বারবার আগ্রহ প্রকাশ করা ইরানকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে রাখা হয়নি। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র জানান, মহাসচিব বান কি মুনের পক্ষ থেকে সোমবার ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের ২২ তারিখ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সিরিয়ার তিন বছরের গৃহযুদ্ধ নিরসনের লক্ষ্যে দেশটির উভয় পক্ষকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এ শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ। এদিকে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিরসনে ইরানের ভূমিকা নির্ধারণে ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কট্টর সমর্থক ইরান। রাশিয়াও চায়, ইরান ওই সম্মেলনে অংশ নিক। বান কি মুনও ইরানের অংশগ্রহণের পক্ষপাতী। অবশ্য রোববার কেরি বলেন, সাইডলাইনে থেকেও সিরিয়া ইস্যুতে ইরান ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ইরানের অংশগ্রহণের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব একটি শর্তারোপ করেছে_ তা হলো সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ২০১২ সালে শক্তিধর দেশগুলো যে সমঝোতায় পেঁৗছেছে, তার সঙ্গে একমত হতে হবে ইরানকে। জেনেভা সম্মেলনের সফল আয়োজনে ইরানের ভূমিকা অন্যতম বড় প্রতিবন্ধক বলে মনে করা হয়।
এ সম্মেলনে যোগ দেওয়া নিয়ে সিরিয়ার সরকারবিরোধীদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। পশ্চিমা সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে তাদের সম্মত করাতে কাজ করছে। তার পরও কয়েকটি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা এতে অংশ নেবে না।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জানিয়েছেন, তার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সরকার ও বিরোধীদের প্রতিনিধি দলে কারা থাকছে, তা নিশ্চিত না হলেও সম্মেলনে অংশ নিতে দেশগুলোকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ। আমন্ত্রিত ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক, ইরাক ও জর্ডান।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর লক্ষ্যেই জেনেভা সম্মেলনে কাজ করা উচিত।

No comments

Powered by Blogger.