রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আহ্বান মুশফিকের

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আহ্বান মুশফিকের
নির্বাচন হয়ে গেলেও রাজনৈতিক সহিংতার এখনও অবসান হয়নি। যদিও সহিংসতার মাত্রা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তাই বলে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি সরে যায়নি। শ্রীলংকা সফরে আসার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি। যদিও এখন পর্যন্ত লংকানরা বেশ পজিটিভ। ৯ জানুয়ারি দুবাইয়ে আইসিসির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। যদি শ্রীলংকা না আসে, তাহলে বড় রকমের হুমকির মুখে পড়বে এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন। শুধু ক্রিকেটের কথা না ভেবে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে যেন রাজনীতিকরা দেশে শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন, সে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বিজয় দিবস টি২০ টুর্নামেন্টের সিলেট পর্বে ইনজুরিতে পড়েছিলেন মুশফিক। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। কয়েকদিন হলো অনুশীলনও শুরু করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে মুশফিকের মাথাও এখন দেশের সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি। গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মুশফিক বলেন, 'এখন আমাদের দেশের সব মানুষ অনেক কষ্টে আছে। শুধু ক্রিকেট খেলার জন্য নয়, আমি বলব সাধারণ মানুষের স্বার্থে যেন আগের মতো পরিবেশ ফিরে আসে। অন্তত যারা দিন আনে দিন খান, তাদের যেন কষ্ট না হয়; খেলোয়াড়রা তো অনেক পরে। বাসায় বসে থাকলেও আমরা তো ভালোই আছি। সাধারণ মানুষ যেন ভালো থাকে, সে চেষ্টা সবার করা উচিত। সাধারণ মানুষের প্রতি ক্রিকেটারদের একটা বড় দায়িত্ব আছে। তাদের সমর্থনের জন্যই ক্রিকেট আজ এ অবস্থায় এসেছে।' রাজনীতিবিদদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক_ 'আমার দিক থেকে তো এমন আহ্বান জানানো অনেক কঠিন। বিসিবি যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আমরা তো চাইব, এখানে বড় বড় টুর্নামেন্ট হলে যেন এমন কিছু না হয়, যাতে বাংলাদেশের বদনাম হয়। পাকিস্তানের অবস্থা এখন কী, সেটা সবাই জানে। আমরা যেন ক্রিকেটমাঠে থাকতে পারি। ক্রিকেটারদের যেন অন্য কোনো কিছু করতে না হয়। কারণ খেলা যদি এখান থেকে চলে যায়, তাহলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি আমাদেরই হবে। তাই দোয়া করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি যেন শান্ত হয়।'
৪ জানুয়ারি কলম্বোতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির দোহাই তুলে বাংলাদেশে না আসার অজুহাত খুঁজছে পাকিস্তান। মুশফিক অবশ্য কূটনৈতিকভাবেই পাকিস্তানিদের অজুহাতের জবাব দিলেন, 'আমরাও কিন্তু পাকিস্তান খেলতে যাইনি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই। খেলার আগে কিন্তু জীবন। সেদিক থেকে তাদের ভাবনা একেবারে অমূলক নয়। তবে আমাদের দেশে এখনও তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে এখানে কেউ আসতে পারবে না। আর তাদের কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, সেটা আমাদের বোর্ড ভালোভাবেই তুলে ধরেছে। সব কিছু দেখেশুনে তারা যদি আসে, তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আর যদি তারা না আসে এবং এশিয়া কাপ খেলা হয়, তাহলে তো আমাদের করার কিছু নেই। আমরা মাঠের কাজ মাঠে করব।' এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তিকে সুযোগ হিসেবেই দেখছেন তিনি_ 'আফগানিস্তান নিয়ে তো আমাদের বড় একটা চ্যালেঞ্জ আছেই। টি২০ বিশ্বকাপে তাদের সঙ্গে আমাদের খেলা আছে। তার আগে এশিয়া কাপ হবে। তাই আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ। এবারের লীগে তাদের অনেক ক্রিকেটারকে দেখেছি। বিপিএলেও তাদের অনেকে ছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে অন্তত এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারি, যেন তারা বলে, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে খেলা এত সহজ নয়।'

No comments

Powered by Blogger.