অপেরা হাউসে ক্লার্কদের সংবর্ধনা

সিডনির অপেরা হাউসে যেন বসেছিল উৎসবের পসরা। সদ্য অ্যাশেজ জয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলকে হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত করলেন গতকাল। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট। আর কেন্দ্র্রে থাকলেন খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ার স্বর্ণযুগের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ কোচ ড্যারেন লেহম্যান। সেই অজেয় অস্ট্রেলিয়া যা করতে পারেনি, লেহম্যান-ক্লার্কের নেতৃত্বে অসিরা সেটাই করে দেখাল। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডকে এত বড় লজ্জা এর আগে কখনোই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। লেহম্যানের ছয় মাসের কোচিংয়ে পতন থেকে নবউত্থান ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার। তারই ফল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দমনীয় ৫-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ জয় ও সাত বছর পর ভস্মাধার উদ্ধার। ভক্তদের সামনে খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে লেহম্যান যেন মনে করিয়ে দিলেন স্বর্ণযুগকেই, 'সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হলো, অসি মতাদর্শেই ছেলেরা সুন্দর, আক্রমণাত্মক ও চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট খেলেছে। ক্রিকেটাররা সব কৃতিত্বের ভাগীদার। তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে।' প্রধানমন্ত্রী অ্যাবোট বললেন, 'তোমরা অনন্য কারণ কেউই আশা করেনি তোমরা জিতবে। তোমরা অপরিবর্তনশীল ছিলে। তোমরাই প্রথম দল যারা গত ১০০ বছরে পুরো একটা সিরিজ জুড়ে পরিবর্তনহীন ছিল।' অধিনায়ক ক্লার্ক সমর্থকদের প্রশংসা করেছেন। মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে রেকর্ড গড়া ৯১,০৯২ জন সমর্থকের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরুর আগেই কথার লড়াই শুরু করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানরা। গতকাল ডেভিড ওয়ার্নার বলেছেন, 'আমরা জানি তাদের অনেক খেলোয়াড়ই এখন ব্যাকফুটে রয়েছেন এবং তারা জ্যাক ক্যালিসের অভাব অনুভব করবেন।' ফাস্ট বোলার পিটার সিডল অধিনায়ক ক্লার্কের মতোই নিজেদেরকে বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ইংল্যান্ডের মতো ধোলাই করার ইঙ্গিত করেছেন, 'মনে হয় যেভাবে আমরা এখন খেলছি সেভাবেই অতীতে তাদের বিপক্ষে খেলে সাফল্য পেয়েছি। আমি তো মনে করি, আমরাই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আক্রমণভাগ।' এক নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি করে টেস্ট ও টি২০ খেলতে আগামী মাসে সেখানে যাবে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়া।

No comments

Powered by Blogger.