মিস ওয়ার্ল্ড হতে চায় লিঙ্গান্তরকারী বাংলাদেশী

“আমি সুন্দরী নারী এবং এজন্য মানুষের উচিত আমাকে সম্মান করা। মিস ওয়ার্ল্ড হওয়া আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্নগুলোর একটি। বড় হওয়ার সময়েই আমার সবসময় মনে হতো আমি ভুল শরীরের ফাঁদে পড়েছি, তাই লিঙ্গান্তর করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
সৃষ্টিকর্তা ও নিজের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমার মন যা চায় আমি তাই করতে পারি।”- সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন লিঙ্গান্তর করা ২৩ বছর বয়সী গ্ল্যামার মডেল অ্যামেলিয়া মালতেপে।

বাংলাদেশের এক রক্ষণশীল মুসলমান পরিবারে জন্ম অ্যামেলিয়া মালতেপের। তার আগের নাম আদেশ। ২০০৯ সালে পড়াশুনার জন্য কানাডার টরেন্টোতে যান অ্যামেলিয়া। মডেলিংয়ের পাশাপাশি বর্তমানে বিজনেস অ্যাকাউন্টিং নিয়ে পড়ছেন। 

ছোটবেলা থেকেই সুন্দর চোখের অধিকারী অ্যামেলিয়া। তিনি জানান, তার চোখই তার সামনে লিঙ্গান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।  লিঙ্গান্তর করার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অ্যামেলিয়া বলেন, “এটা ছিল আমার জন্য অসাধারণ একটা মুহূর্ত। আমার মনে হয়েছে আমি যা ছিলাম শেষ পর্যন্ত তাই হতে সক্ষম হয়েছি।”

অ্যামেলিয়া মেয়েদের মতো চুল পাওয়ার জন্য ২০০০ পাউন্ড ব্যয় করেছেন। হরমোন পরিবর্তন করে লিঙ্গান্তর করার দুই মাস পর অ্যামেলিয়ার শরীরে স্তন প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে অ্যামেলিয়ার ব্যয় হয়েছে ৬০০০ পাউন্ড। 

ভবিষ্যতে মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান অ্যামেলিয়া। এরইমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে মডেলিংও করেছেন তিনি। লিঙ্গান্তর করা কানাডিয়ান মডেল জেনা টালাকোভাকে নিজের অনুপ্রেরণা মনে করেন অ্যামেলিয়া। লিঙ্গান্তর করে সাধারণত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া যায় না।

এ নিয়মের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছিলেন জেনা। বর্তমানে কানাডায় লিঙ্গান্তরকারীদের মিস ওয়ার্ল্ডে প্রতিযোগিতা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কানাডার স্থানীয় পত্রিকা টরেন্টো সান এ অ্যামেলিয়ার মডেলিংয়ের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর তাকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন কয়েকজন রাগান্বিত পাঠক।  

বর্তমানে প্রেমিক চার্লস ডোবাকের সঙ্গে বসবাস করছেন অ্যামেলিয়া। ২৭ বছর বয়সী চার্লস অ্যামেলিয়ার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট।

No comments

Powered by Blogger.