অনলাইন থেকে-আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্য

পাকিস্তানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সফরের মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো উন্নয়নের পাশাপাশি আফগানিস্তান বিষয়েও অগ্রগতি হবে বলে ধারণা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই।
সেখানকার বিশ্লেষকরা এই সফরকে আশার আলো হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার আগের একটি উদ্যোগের ফল সুবিধাজনক ছিল না, যে কারণে এই সফরটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ মনে করে, আফগান প্রশ্নে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধি লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে অনেক বেশি। পাকিস্তান সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, ফেব্রুয়ারির প্রচেষ্টার পর স্পষ্ট হয়ে গেছে, আফগানিস্তান প্রসঙ্গে তাদের শান্তি প্রচেষ্টায় ফাঁক ছিল। দুটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর তাঁরা একমত হয়েছেন। আফগানিস্তানের শান্তি উদ্যোগকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্ত সমস্যা থেকেই গেছে। পাকিস্তানের পত্রিকাগুলোও আফগানিস্তান সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে আছে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নজর পড়েছে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে তাঁকে শান্তি প্রচেষ্টার অন্তরায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আফগানিস্তানকে তাই বাকযুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়েছে পাকিস্তানের ওই সব মন্তব্যের বিরুদ্ধে। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষও সহজে এটা মেনে নিতে পারছে না। যখন শান্তি প্রচেষ্টা হিসেবে ক্যামেরন পাকিস্তান সফর করছিলেন, ওই মুহূর্তে দক্ষিণ কাবুলে শত শত মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। ঠিক তখনই পাকিস্তান বলেছে, আফগানিস্তান নরকে যেতে বসেছে। উত্তরে আফগানিস্তানও বলেছে, পাকিস্তানও মরতে বসেছে। বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সমস্যা দুটি দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও আফগানিস্তানের শান্তি প্রচেষ্টায় দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে আছে- এটাও স্বীকার করতে হবে। আগের প্রচেষ্টা বিফল হওয়ার পেছনে বলা হয়েছে, সেখানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিয়োজিত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতদের অনুপস্থিতি তৎকালীন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফল্য আনতে পারেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন, সেই সময়ে নেওয়া পদক্ষেপে কূটনৈতিক ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। বিবদমান পক্ষগুলোকে তারা ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারের ত্রিদেশীয় প্রচেষ্টা গগণচুম্বী সম্ভাবনাকে জাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আফগানিস্তানের মানসিকতা ভিন্ন বলে মনে হচ্ছে। তারা মনে করছে, ডেভিড ক্যামেরন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছেন।
লেখক : জন বুনে
গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর এম হোসেইন

No comments

Powered by Blogger.