সেনাদের সমর্থন পশ্চিমাদের প্রতি ঘৃণা বাড়াবে: ব্রাদারহুড

মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড মনে করে, এতে পশ্চিমারাসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পশ্চিমাদের প্রতি ঘৃণা বাড়বে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ আল-বেলতাগি বলেন, ‘আমরা খুবই মনস্তাপের সঙ্গে লক্ষ করছি, সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো না কোনোভাবে স্বীকৃতি বা সমর্থন দিচ্ছে। এতে করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর—যারা সব সময় স্বাধীনতাকামী মানুষের পরিবের্ত স্বৈরশাসকের পক্ষ নিয়ে থাকে, তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা বাড়বে।’ বিরোধীদের কয়েক দিনের বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে গত বুুধবার ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে তাঁর সমর্থক ও বিরোধী পক্ষ। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্টকে সেনাবাহিনী উৎখাত করলেও এ ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেনি যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কেননা এটা স্বীকার করে নিলে তখন মিসরের ওপর অবরোধ আরোপ করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমারা তা করতে চাইবে না। কেননা, এতে তাদের কৌশলগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মিসরের সেনাবাহিনীকে বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেনাবাহিনী মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর ইইউ (মিসরের সবচেয়ে বড় বেসামরিক সাহায্যদাতা) আহ্বান জানিয়েছে দ্রুত গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ মিসরের সেনাবাহিনীর নিন্দা করেনি। ব্রাদারহুডের নেতা বেলতাগি বলেন, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকে মেনে নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকা নিজেদের স্বৈরশাসক ও নিপীড়কের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরল। মুরসিকে উৎখাতের পর তাঁর দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি এবং তাদের মূল সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের অনেক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার এবং তিন শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এসব দমনপীড়ন উপেক্ষা করে তাঁরা মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বহাল দাবি জানাচ্ছে। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.