শিশু ধর্ষণের শিকার, চিকিৎসায় গাফিলতি

নাটোরের সিংড়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী ও সিংড়া থানার পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে পানের বরজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি আমবাগানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশুটির খালা আজুফা বেগম আনিছুরের বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনার বিচার চাইলে তাঁকে মারধর করা হয়। এ সময় আনিছুরকে হাতেনাতে ধরা হলেও পরিবারের লোকজন তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন অজুফা বেগম।
হাসপাতালে শিশুটির মা জানান, ঘটনার পর মেয়েকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের কাছে নিতেও আনিছুরের লোকজন বাধা দেন। পরে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করেননি।
২৪ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে ভর্তি হলেও শিশুটিকে কেন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে আবাসিক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি জানেন না বলে জানান। পরে তিনি হাসপাতালে খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। আবুল কালাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানান। তাঁদের নির্দেশে চিকিৎসক মাহবুবা বেগম সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হাসপাতালে এসে রোগীকে পরীক্ষা করেন।
আবুল কালাম বলেন, ‘যে চিকিৎসক দায়িত্বে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি।’
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম ফয়েজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.