মূল রচনা আমার জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র বানাতে চেয়েছিলেন খালেদ: সুদর্শন গৌতম

এভারেস্ট অভিযানে সজল খালেদের সঙ্গে আমার পরিচয়। দ্রুতই আমরা বেশ ভালো বন্ধু হয়ে যাই। ২০ মে সকালে এভারেস্টের চূড়ায় আমরা একসঙ্গে ১৫ মিনিট ছিলাম। খালেদ সেখানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। খুব উল্লসিত ছিলেন তিনি। প্রচুর ছবি তুলেছি আমরা, ভিডিও করেছি নানাভাবে।
এভারেস্ট চূড়ার ওপর দাঁড়িয়ে খালেদ বারবার তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন। কিন্তু আমাদের হাতে স্যাটেলাইট ফোন ছিল না। ফলে খালেদ আর তাঁর স্ত্রীর মধ্যে কথা হয়নি। কথা ছিল নেমে খালেদ প্রথম ফোনটি করবেন তাঁর স্ত্রীকে।
এভারেস্ট চূড়ার ১৫০ থেকে ২০০ মিটার নিচে নামার পর আমি অসুস্থ বোধ করি। আমার শারীরিক অবস্থার কারণে দ্রুত আমাকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। পরদিন ক্যাম্প-২ থেকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুর সিরিক ট্রাবল মেডিসিন সেন্টারে। এ কারণে খালেদের শেষ সময়ে আমি তাঁর পাশে ছিলাম না। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হলো তাও অজানা।
খালেদ আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁদের ঢাকার বাসায় বেড়াতে যেতে। আমি তাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম কানাডার ক্যালগেরিতে আমাদের বাড়িতে। আমার জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন খালেদ। কিন্তু তা আর হলো না। খালেদের মৃত্যুতে আমি খুব ভালো একজন বন্ধু হারালাম। এই পর্বতারোহীর জন্য তাঁর দেশের মানুষের গর্ব করা উচিত।

[নেপালি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক সুদর্শন গৌতম ২০ মে এভারেস্ট জয় করেন। প্রায় দেড় দশক আগে একটি দুর্ঘটনার পর গৌতমের দুটি হাতই কেটে ফেলতে হয়। সজল খালেদের এভারেস্ট অভিযানে একই দলে ছিলেন গৌতম। অদম্য এই পর্বতারোহী শারীরিক প্রতিবন্ধিতাকে জয় করেন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে। স্ত্রী আম্বিকা ও দুই সন্তান নিয়ে তিনি বাস করেন কানাডায়। প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে কাজ করেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। ২৩ মে টেলিফোনে গৌতমের সঙ্গে কথা বলেন পল্লব মোহাইমেন ]

No comments

Powered by Blogger.