নওয়াজের সাড়া ইতিবাচক, সম্পর্ক উষ্ণহবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফের কাছ থেকে তাঁরা যেসব সংকেত পেয়েছেন তা ইতিবাচক। এতে করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক উষ্ণ হবে বলে তিনি আশা করছেন। পাঁচদিনের জাপান ও থাইল্যান্ড সফর শেষে গতকাল শুক্রবার নয়া দিল্লিতে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন মনমোহন সিং। এর আগে দেশে ফেরার পথে তিনি সাংবাদিকদের কাছে আশা প্রকাশ করেন, তাঁর দেশ শিগগিরই জাপানের সঙ্গে বেসামরিক পরমাণু চুক্তি করতে পারবে। এতে করে ভারতে টোকিওর পরমাণু চুল্লি রপ্তানির পথ সুগম হবে। এসময় তিনি ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মতবিরোধের খবর উড়িয়ে দেন। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মনমোহন বলেন, তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। তাঁরা আশা করে, দুই দেশের মধ্যে বিবদমান বিষয়গুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যেতে পারে। এ ধরণের বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রশ্নে নওয়াজ শরিফও একই ধরণের অভিমত প্রকাশ করেছেন বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে মনমোহন জানান, গত পাকিস্তানের ১১ মে সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তিনি বিজয়ী দল পিএমএল-এন-এর প্রধান নওয়াজকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এছাড়া নওয়াজকে তিনি ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং নওয়াজও তাঁকে পাকিস্তানে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মনমোহন। এর আগে দেশে ফেরার প্রাক্কালে বেসামরিক পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে মনমোহন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং ওই বিষয়ে এই সফর ছিল একটি আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। আমি আশাবাদী, খুব বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার আগেই আমরা জাপানের সঙ্গে একটি বেসামরিক পরমাণু শক্তি চুক্তি সই করতে পারব।’ টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও মনমোহনের মধ্যে বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয় তাতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতার গুরুত্বের বিষয়টি উভয় নেতাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা এও উল্লেখ করেছেন, পরমাণু নিরাপত্তার বিষয়টি উভয় দেশের সরকারই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ‘সোনিয়ার সঙ্গে মতপার্থক্য নেই’: এদিকে নানা ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মনমোহনের বিরোধ চলছে বলে সম্প্রতি খবর বের হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে মনমোহন বলেন, ‘একেবারে সত্যি কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রীর কোনো মতপার্থক্য নেই। আমরা প্রায় প্রতিটি ইস্যুতেই একসঙ্গে কাজ করি। যেখানে উপদেশ নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেখানেই আমি কংগ্রেস সভানেত্রীর উপদেশ নিয়ে থাকি।’ ‘মন্ত্রিসভায় শূন্য স্থানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে’: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নয় মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর পদ বর্তমানে খালি। সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন রেলমন্ত্রী পবন কুমার বানসাল ও আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। পদ খালি থাকায় মন্ত্রিসভায় রদবদল আনার কোনো চিন্তা আছে কি না মনমোহনকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু পদ খালি রয়েছে। এসব শূন্য স্থান পূরণের বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। ডন, পিটিআই ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.