জীবনের প্রথম পরীক্ষা দিয়ে উৎফুল্ল শিশুরা

নগরীর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিশু-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট মেরি’স স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জীবনের প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে উৎফুল্ল হয়ে হল থেকে বেরিয়ে এসেছে কোমল শিশুরা।
শুক্রবার স্কুলের কেজি শ্রেণিতে দু’পালার ভর্তি পরীক্ষার প্রথম পালায় ৯শ’ ক্ষুদে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। সকাল ৮টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে ১০টা পর্যন্ত চলে। দ্বিতীয় পালার পরীক্ষা বিকেল ২টায় শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।

স্কুল সূত্রে জানায়, নগরীর জামালখানের সেন্ট মেরিস একটি খ্রিষ্টান মিশনারি দ্বারা পরিচালিত স্কুল। এখানে প্রতি শিক্ষাবর্ষে কেজি শ্রেণিতে দু’পালায় তিনটি শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

এ বছর ১ হাজার ৮৩৪ ক্ষুদে শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে লড়ছে। ৩৬০ আসনের বিপরীতে এ হিসাবে প্রতি আসনে ৫ শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ভর্তি পরীক্ষার্থী সঞ্জয় বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলে, ‘আমাকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে আমি সব কিছুরই উত্তর দিয়েছি।’

এদিকে ছেলে-মেয়েদের ভর্তি করাতে সকাল থেকেই অভিভাবকরা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে এসে জড়ো হন।

সুব্রত বড়ুয়া নামের এক অভিভাবক বলেন,‘সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তি করাতে অভিভাবকদের তো কষ্ট করতেই হবে। তাই নগরীর আজ (শুক্রবার) ভোরে স্কুলে এসেছি। তবে ভর্তির সুযোগ পেলে সব কষ্টই সফল হবে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরি শান্তা জানান, ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। এর আগে ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছর প্রতি শাখায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এর আগে ২৩ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করেন অভিভাবকরা।

No comments

Powered by Blogger.