সিটির লোভকে রোনালদোর ‘না’

গুঞ্জনের চারাগাছটা ভালোই বেড়ে উঠছিল। তিনি নিজেও সার-পানি দিয়েছেন খানিকটা। এবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই ছেঁটে ফেললেন সেই গাছ। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘আমি সিটিতে যাচ্ছি না। আমি কথা দিচ্ছি, আমি যাব না। টাকাই জীবনের সবকিছু নয়।’
টাকার প্রসঙ্গটা আসার কারণ আছে। খবর বেরিয়েছিল, রোনালদোর জন্য নাকি ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতেও রাজি ম্যানচেস্টার সিটির মালিক আরব ধনকুবের। ট্রান্সফার ফির বর্তমান রেকর্ডটিও রোনালদোর। ৯২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ম্যানইউ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ কিনেছিল তাঁকে। সেই রেকর্ডই গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিল সিটি। রোনালদোকে সপ্তাহে সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে খবর। সানডে মিরর-এ ছাপা হয়েছে, রোনালদো নাকি বন্ধুদের বলেছেন, সপ্তাহে চার লাখ পাউন্ড করে দিলে সিটিতে তিনি যেতেও পারেন।
স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের মন্তব্য গুঞ্জনের ডালপালা ছড়ায়। রোনালদো এবার নিজে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন এভাবে, ‘আমি এখন যা পাই, হয়তো তার দ্বিগুণ পেতাম। টাকাই যদি সব হতো, আমি এত দিনে চলেই যেতাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো (ক্লাবের লোকজনের) আচরণ। এখানে আমাকে খুবই ভালোভাবে রাখা হয়েছে। আমি মাদ্রিদে খুব সুখে আছি।’
এতই সুখে আছেন যে, ‘আমি ১০ বছরের জন্য মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করতে চাই, ক্যারিয়ারটা শেষ করতে চাই এখানেই’—ঘোষণা পর্যন্ত করে দিলেন। রিয়ালে তাঁর দুই মৌসুমে একটিই শিরোপা জিতেছেন—স্প্যানিশ কাপ। তবে রোনালদোর বিশ্বাস, সাফল্য ধরা দিতে আর বেশি দেরি নেই, ‘গতবার আমাদের আরও বেশি কিছু জেতার সম্ভাবনা ছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার জন্য আমি রোমাঞ্চিত অপেক্ষায় আছি। আর ভালো কোচ, খেলোয়াড় যদি থাকে, আজ হোক, কাল হোক সাফল্য ধরা দেবেই।’
রোনালদোকে এই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে হোসে মরিনহোর উপস্থিতি, ‘কীভাবে জেতাতে হয়, সেটি তিনি ভালো করেই জানেন। আমি নিশ্চিত, মাদ্রিদে তাঁর দ্বিতীয় মৌসুমে তিনি আরও ভালো করবেন। মরিনহোই সেরা। যেসব লিগে তিনি কাজ করেছেন, সেখানে তা প্রমাণও করে দিয়েছেন।’

No comments

Powered by Blogger.