রসে টসটসে টস

গত বিশ্বকাপ বেশ কিছু নাটকের জন্ম দিয়েছিল। যেগুলোকে আসলে নাটকের চেয়ে প্রহসন বলাই ভালো। সবচেয়ে বড় প্রহসনের জন্ম তো হলো ফাইনালেই। আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচের শেষ ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়াররা, জয়োৎসবে মেতে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরে আবার শুরু করা হয় খেলা। প্রায় অন্ধকারে ব্যাট করতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। গতবারের যে প্রহসনটি ‘কমেডি অব এরর’ নামে পরিচিত।
গতকালও এমন একটা কমেডি জমে গিয়েছিল প্রায়। ফাইনালের টসটা যে হলো দুবার!
স্বাগতিক অধিনায়ক হিসেবে কয়েন শূন্যে ছোড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ‘কল’ ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। দর্শকের প্রচণ্ড শোরগোলের কারণে টিভিতে প্রথমে ভালোভাবে শোনা যায়নি সাঙ্গাকারা ‘হেড’ চেয়েছেন নাকি ‘টেল’। কিন্তু টস শেষে দেখা গেল, দুই অধিনায়কই দাবি করছেন, তাঁরা টস জিতেছেন! ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো নিজেও ধন্দে। কী আর করা, টস হলো আবারও। এবার বেশ জোরালো কণ্ঠে ‘হেড’ চাইলেন সাঙ্গাকারা। হেডই হলো। এবার জিতলেন সাঙ্গাকারা। নিলেন ব্যাটিং।
প্রশ্ন হলো, প্রথমবার টসে কী হয়েছিল? ভুলটা সাঙ্গাকারা নাকি ধোনির? পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, ভুলটা আসলে ধোনিই করেছেন। প্রথমবারও সাঙ্গাকারা ‘হেড’ চেয়েছিলেন। কিন্তু ধোনি ভুল করে শুনেছেন ‘টেল’। এ কারণে প্রথমবার টস শেষে সাঙ্গাকারার বদলে ধোনিই প্রথম উপস্থাপক রবি শাস্ত্রীর দিকে এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমরা ব্যাটিং নেব।’
এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, কাল দুই দলই ব্যাটিংই নিতে চেয়েছিল প্রথমে। ফাইনালের মতো মহা ম্যাচে রান তাড়া করা বাড়তি চাপ তো অবশ্যই। রেকর্ডও বলছে, বিশ্বকাপে আগের নয়টি ফাইনালে সাতবারই প্রথমে ব্যাটিং করা দলই ম্যাচ জিতেছে!
সে যা-ই হোক...শুরুতে একটা বিনোদন উপহার দিল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে। ক্রিকইনফোর এক পাঠকও যেমন রসিকতা করে মন্তব্য করেছেন, ধোনির উচিত ছিল প্রথমবার টস হওয়ার পরই রেফারেল চাওয়া। আরেকজনের সরস মন্তব্য, সব দোষ জেফ ক্রোর। চার বছর আগের ফাইনালটিরও ম্যাচ রেফারি যে ছিলেন তিনিই!

No comments

Powered by Blogger.