চলতি সপ্তাহেই ভারতের মন্ত্রিসভায় রদবদল

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের সঙ্গে গত সোমবার নয়াদিল্লিতে বৈঠকে করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁদের ওই বৈঠকের পর এই ইঙ্গিত আরও জোরালো হয়ে উঠছে যে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে যাচ্ছে।তবে অর্থ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বলেও আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী নতুন দল নিয়ে নতুন বছরের কর্মকাণ্ড শুরু করতে চান। মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে—এ নিয়েও কথাবার্তা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরিকল্পনার খুঁটিনাটি নিয়ে গত সপ্তাহে দুবারেরও বেশি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। ২০০৯ সালের মে মাসে সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে যাচ্ছে।ডিএমকের এ রাজা, শশী থারুর ও কংগ্রেসের পৃথ্বীরাজ চাভানের বিদায়ের পর সৃষ্ট শূন্যতা এবং অনেক মন্ত্রীর ওপর অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা লাঘবের জন্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শরদ পাওয়ার ও কপিল সিবাল একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁদের দায়িত্বের বোঝা কমানো হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। পাওয়ার বর্তমানে কৃষি, খাদ্য ও ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি বলেছেন, তিনি কিছু দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান। গুজব শোনা যাচ্ছে, আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মোইলিকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আর বর্তমান সংখ্যালঘুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সালমান খুরশিদকে দেওয়া হতে পারে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আরও গুজব রয়েছে, কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীষ তিওয়ারিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।রাজার বিদায়ের পর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া কপিল সিবাল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ফিরে পেতে আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে, যাতে তিনি শিক্ষা খাতে শুরু করা সংস্কার অব্যাহত রাখতে পারেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও কিছু সময় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রাখতে চান বলে আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।মন্ত্রিসভায় রাজার জায়গায় নতুন নাম প্রস্তাব করতে পারে জোটসঙ্গী ডিএমকে। আলোচনায় রয়েছে সাবেক মন্ত্রী টি আর বালুর নাম। তবে টি আর বালুর অতীতের দক্ষতায় তেমন সন্তুষ্ট নন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দিন আগে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন বালু।তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদকে দলীয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বলা হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.