খবর- চট্টগ্রামে ভাঙ্গা ভাঙ্গির রাজনীতি

ট্টগ্রামে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাংগঠনিক রাজনীতিতে আকস্মিক মেরুকরণ হয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগেও চট্টগ্রাম মহানগরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচটি ধারা সক্রিয় ছিল। আর বিএনপি ছিল তিনটি ধারায় বিভক্ত। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের তিনটি পক্ষ ভাগ হয়ে দুটি পক্ষে মিশে গেছে। আর বিএনপির তিনটি পক্ষও দুটিতে পরিণত হয়েছে। (রাজনীতি চট্টগ্রামে দুই দলের মহানগরের নেতারা সক্রিয়। পাঁচ ভাগের আ.লীগ, তিন ভাগের বিএনপিতে এখন দুটি করে পক্ষ)
উভয় দলের একাধিক নেতা জানান, নতুন এ মেরুকরণে দুই দলেরই মাঠপর্যায়ে সক্রিয় নেতার পক্ষ ও ‘সবল’ (ক্যাডার) কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা পরস্পরবিরোধী পক্ষ একজোট হয়েছে। যেমন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী পক্ষ ও আ জ ম নাসির পক্ষ (গ্রুপ) এক হয়ে গেছে। একইভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন পক্ষ একতাবদ্ধ হয়েছে।
সূত্রমতে, মহিউদ্দিন চৌধুরী বরাবরই নগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বড় অংশের নিয়ন্ত্রক। আর তাঁর বিপরীতে আ জ ম নাসির দলীয় কোনো পদে না থেকেও স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। কারণ দলের ‘সবল’ ছাত্র-যুব কর্মীদের শক্তিশালী একটা অংশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে। গত শুক্রবার থেকে এই দুই পক্ষ একজোট হয়ে চট্টগ্রামে বিরোধী দলের আহুত ‘হরতাল নৈরাজ্য’ ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন।
একইভাবে বিএনপির তৃণমূলের বিভিন্ন কমিটির নেতা-কর্মীদের বড় অংশ সাবেক নগর সভাপতি ও দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর নাছিরের এবং ‘সবল’ ছাত্র-যুব কর্মীদের শক্তিশালী অংশ কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নোমানের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদেরও একটা অংশ রয়েছে। বিএনপিতে ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে পরিচিত এই দুই পক্ষও এক হয়েছে।
প্রভাবশালী এ দুই নেতার বিপরীতে এখন বিএনপির আরেকটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম মেয়র নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ মন্জুর আলম জয়ী হওয়ায় কেন্দ্রে আমীর খসরুর অবস্থান আরও মজবুত হয়েছে।
আ.লীগের পাঁচ পক্ষ দুটিতে পরিণত: চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাঁচটি পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী, আ জ ম নাসির, সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন এবং সাংসদ এম এ লতিফ। এর মধ্যে মহিউদ্দিনের বিরোধিতার ক্ষেত্রে এত দিন আ জ ম নাসির, আফছারুল আমীন, নুরুল ইসলাম ও নগর আওয়ামী লীগের অর্থসম্পাদক ও সিডিএ (চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আবদুচ ছালাম এককাট্টা ছিলেন। আর স্থানীয় সাংসদ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এম এ লতিফ একাই এক পক্ষ। দলীয় এসব অন্তঃকোন্দল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরাজয়ের বড় কারণ বলে মনে করা হয়।
কিন্তু এখন মহিউদ্দিন চৌধুরী, আ জ ম নাসির ও এম এ লতিফ এক হয়েছেন। গত শুক্রবার ‘হরতালবিরোধী’ সমাবেশে এই তিন নেতার একমঞ্চে ওঠার মধ্য দিয়ে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। অবশ্য এই তিন পক্ষের ঐক্য সম্পর্কে আফছারুল আমীন প্রথম আলোর কাছে মন্তব্য করেন, ‘এত দিন পর কেন এই ঐক্যের সুর বাজল, সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঐক্যের কথা বলে অতীতে অনেকে মানসম্মান হারিয়েছেন। ধমক খেয়েছেন। হঠাৎ এই সুর কেন?’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ঐক্যের জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধী দল নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এটা ঠেকাতে তিনি ২০ নভেম্বর হজ থেকে ফিরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘অতীতে আমাদের মধ্যে অনেক ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কিন্তু মানুষ তো ধাক্কা খেয়ে পাক্কা হয়। আমি মেয়র নির্বাচনে হেরেছি, নিশ্চয়ই রাজনৈতিকভাবে আমার কোনো দোষ-ত্রুটি ছিল। সেটা তো কাটিয়ে উঠতে হবে।’
জানতে চাইলে আ জ ম নাসির বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে একমঞ্চে এসে সমাবেশ করার বিষয়টি দলের নিবেদিত নেতা-কর্মীরা ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন।’ তিনি দাবি করেন, দলীয় প্রধানের নির্দেশে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, যাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করা যায় এবং হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘দলের মূল স্রোতের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁরা মান-অভিমান ভুলে এবং ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। যেমন নুরুল ইসলামকে আমরা সাংসদ বানিয়েছি। তিনি রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব নন। অভিমান ভুলে তাঁরও উচিত মূল স্রোতে চলে আসা।’
জানতে চাইলে সাংসদ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নীতিগত দ্বন্দ্ব দূর হলে তাঁরা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ডাকা কর্মসূচিতে যেতে পারেন। নীতিগত দ্বন্দ্ব কী—এ প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (মহিউদ্দিন) কেন ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আমার বিরোধিতা করেছেন, তা পরিষ্কার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের সময় যেসব ওয়ার্ডের কমিটি থেকে দলীয় নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের আবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এককাট্টা মন্ত্রী-সাংসদ: মন্ত্রী আফছারুল আমীন ও সাংসদ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে নগর আওয়ামী লীগের একাংশ গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাম্প্রতিক দলীয় কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা বিশেষ করে আ জ ম নাসিরকে নিয়ে সভা করার তীব্র সমালোচনা করেন।
আফছারুল আমীন ও নুরুল ইসলাম তাঁদের অনুসারী নেতা-কর্মীদের জন্য নগরের দোস্ত বিল্ডিংয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের পৃথক একটি কার্যালয় করার ঘোষণা দেন। আফছারুল আমীন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলামের কার্যালয়টি আপাতত অফিস হিসেবে ব্যবহার করবেন। সেখানে আপনারা আসবেন।’
নুরুল ইসলাম ‘সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায়’ পাঁচ-ছয়জনের একটি কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বৈঠকে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম বক্তৃতা করেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান ১০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং অন্তত ২০টি ওয়ার্ডের দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই পক্ষ ২৯ নভেম্বর লালদীঘি মাঠে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি ও হরতালবিরোধী’ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। একই মাঠে একই দাবিতে মহিউদ্দিন-আ জ ম নাসির পক্ষ ৩ ডিসেম্বর সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে। এ দুটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ শক্তিমত্তা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পক্ষ কমলেও কোন্দল বেড়েছে বিএনপিতে: চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে আবদুল্লাহ আল নোমান ও মীর নাছিরের নেতৃত্বে দুটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে তৎপর। আমীর খসরুকে গত বছর বিএনপির চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি ঘোষণার পর তাঁর নেতৃত্বে আরেকটি পক্ষের সৃষ্টি হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, নোমান ও মীর নাছির স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। আর খসরুর সঙ্গে ভালোভাবে আছেন নগর বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি শামছুুল আলম ও বর্তমান মেয়র মন্জুর আলম।
এর বাইরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী নিজেই একটি পক্ষ হিসেবে নিজেকে জাহির করেন। তবে নগরের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি নেই বলে দলীয় নেতারা জানান। মূলত নগরের বাইরে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি এলাকায় দাপট দেখান তিনি।
জানা গেছে, মূলত আমীর খসরুকে ঠেকাতে নোমান-নাছির এক হয়েছেন। এ দুই কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত শুক্রবার মীর নাছিরের বাসায় সাংগঠনিক বৈঠকে। এতে নোমান-নাছিরের অনুসারী ১১ থানা ও ৪১ ওয়ার্ড শাখার দলীয় নেতা অংশ নেন। তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে হরতাল সফল করার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠক শেষে নগরে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করা হয়।
মীর নাছির প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন বাসা ছাড়া হয়েছেন। মাঠ উত্তপ্ত, কর্মীরা এখন আন্দোলনমুখী, তাঁরা নেতৃত্ব চান। এ অবস্থায় বসে থাকার সুযোগ নেই। আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করেছি।’ তাঁর দাবি, নোমানের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানো দলীয় আন্দোলনের জন্য জরুরি ছিল। এখন আর নগর সভাপতির দিকে চেয়ে থাকার সময় নেই। তাঁরাই হরতাল সফল করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
নোমানের অনুসারী বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, নোমান ও মীর নাছিরের এই ঐক্য নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে।
আমীর খসরু বিএনপির একাধিক পক্ষ থাকার কথা নাকচ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি একটাই। এখানে দলের মনোনীত কমিটিই বিএনপি। এর মাধ্যমেই চট্টগ্রামের বিএনপি পরিচালিত হবে। এর বাইরে কেউ কিছু করলে, সেটা দলের বিষয় নয়।’
মীর নাছির ও নোমানের অনুসারীরা হরতালের পক্ষে সভা-মিছিল বা প্রস্তুতি নিলেও নগর কমিটির পক্ষ থেকেও পৃথক কর্মসূচি রয়েছে। আজ রোববার ও কাল সোমবার বেলা তিনটায় নাসিমন ভবনে নগর কার্যালয় থেকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলের অংশ নিতে সভাপতি আমীর খসরু ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
=============================
ফিচার খবর - নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা’র বিরুদ্ধে রাজপথে আনসার-ভিডিপি!  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রটোকল কার' : গরিবের ঘোড়ারোগ' by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিদ্যমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন ডা. মিলন' by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী  রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের সহাবস্থান' by ড. তারেক শামসুর রেহমান  আলোচনা- 'উপকূলের মাটির মানুষের কান্না' by জয়নুল আবেদীন  আগামী দিনের লক্ষ্য নির্ধারণে দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন  দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নের নতুন পথ  প্রকৃতি- বাংলাদেশের ঝুঁকি বাড়ছে কমেনি কার্বন নিঃসরণ by ইফতেখার মাহমুদ  প্রথম আলোর সাথে সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সামাজিক ব্যবসা অনেক ক্ষেত্রেই বেশিকার্যকর'  আলোচনা- 'তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে করণীয়' by by মোহাম্মদ জমির  রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্রের স্বার্থে পারস্পারিক সম্মানবোধ' by ড. আবু এন. এম. ওয়াহিদ  শিল্প-অর্থনীতি 'চরম দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে' by জাহাঙ্গীর শাহ  বিশেষ রচনা- মেডির মিরাকল by মাসুদ রহমান  ভ্রমণ- 'ঘুরি দেশে দেশে' by মাহফুজ রহমান  প্রকৃতি- 'বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে হাঁক, দ্বিগুণ হবে বনের বাঘ' by খসরু চৌধুরী  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'সংসদীয় গণতন্ত্র, না ভানুমতির খেল' by সোহরাব হাসান  গল্পালোচনা- 'এই দীনতা ক্ষমা করো প্রভু...' by মুস্তাফা জামান আব্বাসী  ফিচার গল্প- ‘ইতালির রাস্তায় পুলিশ খুঁজতাম' by বাবুল আক্তার  খবর- মৃত ভেবে মাছুমার নিথর দেহ ওরা ফেলে দেয় মহাসড়কে


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.