‘এল ক্লাসিকো’ এবং মরিনহো

সর্বশেষ চারটি এল ক্লাসিকোর প্রতিটিই হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে আছে নিজেদের মাঠ বার্নাব্যুতে ৬-২ গোলের লজ্জাও। এল ক্লাসিকো তো একপেশে হয়ে যাচ্ছে!
এবার ছবিটা অন্যরকম হবে। আপনি নিশ্চিন্তে বাজি ধরতে পারেন। হোসে মরিনহো আছেন না!
বার্সেলোনাকে কী করে আটকাতে হয় সেটি ভালোই জানা মরিনহোর। ববি রবসন আর লুইস ফন গলের সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে বার্সার অন্দরমহলটাও হাতের তালুর মতোই চেনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দফায় বার্সেলোনাকে নকআউট করে দিয়ে (প্রথমবার চেলসি, পরের বার ইন্টার মিলানের হয়ে) ‘স্পেশাল ওয়ান’ তা প্রমাণও করে দিয়েছেন।
আগামী সোমবার এল ক্লাসিকো। এর আগেই রিয়ালের কোচ তোপ দেগেছেন এই তথ্য স্মরণ করিয়ে, ‘অতীত অভিজ্ঞতা আছে বলেই আমি জানি বার্সেলোনার সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয়।’ সেই রহস্য লুকিয়েও রাখেননি। ফাঁস করে দিয়েছেন, ‘ওদের নিষ্ক্রিয় করার একটাই উপায়, আপনাকে নিজের খেলার ধরনটাই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ওদেরকে ওদের মতো করে খেলতে দিলেই সর্বনাশ। কারণ (ওই ধরণের খেলায়) একক ও দলগতভাবে ওরাই সেরা।’
প্রতিপক্ষ কোচরা চাইলে টুকে নিতে পারেন মরিনহোর বিশদ পরামর্শ, ‘বলের দখল নেওয়ার লড়াইয়ে ওদের কাছে হেরে গেলেই সর্বনাশ। ওদের চমকে দিতে রক্ষণভাগ থেকে লম্বা লম্বা পাস খেলে ওদের সীমানায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ধীরেসুস্থে আক্রমণ গড়ে তুলতে না পারলে বার্সা বড় সমস্যায় পড়ে।’
শুধু বার্সা নয়, মেসির পায়ে শেকল পরানোর রহস্যটাও ভালোই জানা আছে এই পর্তুগিজ কোচের। মরিনহো প্রতিপক্ষের কোচের ডাগ-আউটে থাকা অবস্থায় মেসি এখন পর্যন্ত একটি গোলও করতে পারেননি। মরিনহো আরেকটি তথ্য জানেন, পরশু ন্যু ক্যাম্পে থেকে থেকে স্লোগান উঠবে তাঁর বিরুদ্ধে, ‘সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে (গতবার ফাইনাল হয়েছিল এখানে) চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন ওদের পূরণ হয়নি আমার কারণে। জানি, ওরা আমাকে কখনোই ক্ষমা করবে না। আমাকে শত্রু হিসেবেই অভ্যর্থনা জানানো হবে।’
আক্রমণ-রক্ষণ মিলে প্রায় নিখুঁত একটি দলকেই সামলাতে হবে বার্সাকে, যাদের রক্ষণে মাঝেমধ্যেই খেই হারিয়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে এই মৌসুমে। বার্সার মাঠে তাদের হারিয়েছে হারকিউলিস, ড্র করেছে মায়োর্কা। তবে এরই মধ্যে আসল কথাটি বলেছেন মায়োর্কার কোচ মাইকেল লাউড্রপ, ‘সবাই জানে বার্সেলোনার বিপক্ষে কীভাবে খেলতে হবে। সমস্যা হলো, কাগজ-কলমে সেই হিসাব করা এক জিনিস, মাঠে খেলা অন্য জিনিস।’

No comments

Powered by Blogger.