পরিশ্রমটাও উপভোগ করছেন ক্রিকেটাররা

অন্যবারের তুলনায় এবার একটু কঠোরই হচ্ছে অনুশীলনটা। তার পরও ক্রিকেটাররা খুশি। উপভোগ করছেন বলে অনুশীলনের বাড়তি পরিশ্রম গায়ে লাগছে না কারও।প্রথম দিনের মতো কালও হয়েছে টানা চার ঘণ্টার অনুশীলন। দলে দলে ভাগ হয়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং প্র্যাকটিস আর ফিটনেস ট্রেনিং। অনুশীলন শেষে কোচ জেমি সিডন্স কয়েকজন ক্রিকেটারকে আলাদা করে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁরা অনুশীলন উপভোগ করছেন কিনা। ক্রিকেটাররা ইতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন। সিডন্সের পরিকল্পনা অনুযায়ী টানা চার দিন অনুশীলনের পর সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে খেলবেন অনুশীলন ম্যাচ। শুক্র-শনি দুই দিন বিশ্রাম।উপভোগের প্রশ্নটা থাকছে জেমি সিডন্সের জন্যও। অনেক নতুনত্বের অনুশীলনে এবার ক্রিকেটারদের সমস্যা নিয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ। অনুশীলনে নিজের ভূমিকাটাও এবার একটু অন্যরকম সিডন্সের। বোলিং কোচ আসার আগে নেটে তিনিই বোলারদের অভিভাবক। বোলিং কোচের কাজ কেমন লাগছে—জানতে চাইলে কাল কোচ হেসে উত্তর দিলেন, ‘ভালোই...। কাউকে না কাউকে তো কাজটা করতেই হবে। আর আমি মৌলিক কিছু বিষয় নিয়েই কাজ করছি।’‘বোলিং কোচ’ হিসেবে কাল জেমি সিডন্সের সঙ্গে যোগ হয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। মূলত একাডেমির অনুশীলন ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকলেও প্রতিদিন সেটা শেষ করে সালাউদ্দিন কাজ করবেন জাতীয় দলের স্পিনারদের সঙ্গে, এমনটাই নাকি বলা হয়েছে তাঁকে বোর্ড থেকে। সালাউদ্দিন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের বাইরে চলে যাওয়ায় স্পিন বোলিং কোচ নিয়ে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটার তাই আপাত সমাধান হলো।

No comments

Powered by Blogger.