ভোমরা স্থলবন্দর আবার সচল

সাতক্ষীরা জেলায় ভারতের সীমান্তসংলগ্ন ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি তিন দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার থেকে আবার চালু হয়েছে। অন্যদিকে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুরে অবস্থিত হিলি স্থলবন্দরে গতকাল দুপুর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ভোমরা: ভোমরা বন্দরের কাস্টমস সুপার হাসান মোর্শেদকে উদ্ধৃত করে সাতক্ষীরা থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, গতকাল ২৮৮ ট্রাক পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে।
আমদানি করা পণ্য বিডিআর আটক করার প্রতিবাদে বুধবার থেকে ভোমরা বন্দরে কর্মরত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সব সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী নওশেদ দেলোয়ার জানান, মঙ্গলবার রাতে ভারত থেকে আমদানি করা ২১২ কার্টন সিনথেটিক্স থ্রিপিস ও ফেব্রিক্স প্রাথমিকভাবে ছাড় করে নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস এলাকার মধ্যে একটি গুদামে মজুদ রাখা হয়।
কিন্তু রাতেই ওই গুদাম থেকে এসব পণ্য আটক করে বিডিআর সাতক্ষীরা ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে নিয়ে যায়।
এর প্রতিবাদে ও আটক পণ্য ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলো বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মবিরতি পালন করে।
পরে আটক পণ্য ছেড়ে দেয় বিডিআর।
হিলি: দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানান, স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টে ঢুকে একদল বহিরাগত শ্রমিক কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছেন। এ সময় তাঁরা পোর্টে কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করলে কমপক্ষে ২০ জন শ্রমিক আহত হন।
এ ঘটনায় দুপুর দুইটা থেকে পানামা পোর্টে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর দুইটায় এ ঘটনা ঘটে।
পানামা হিলি পোর্টে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মী, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ হিলি স্থলবন্দর শাখার সভাপতি নওশাদ ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লাবুর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন শ্রমিক একটি মিছিল নিয়ে পানামা পোর্টের কার্যালয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে তারা ভাঙচুর চালান ও মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পানামা কর্তৃপক্ষ এবং স্থদলবন্দরে কর্মরত ১২টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দুপুর দুইটা থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখেন।
পানামা হিলি পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী অনন্ত কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তবে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান লাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অনেক শ্রমিকের মজুরি বকেয়া রয়েছে। পানামা কর্তৃপক্ষ তা শোধ করেনি। তাই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা হামলা করতে পারেন। আমরা কোনো ভাঙচুর বা শ্রমিককে মারধর করিনি।’ সন্ধ্যা ছয়টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

No comments

Powered by Blogger.