বিশ্বকাপই শেষ সুয়ারেজের

এমন আত্মোৎসর্গ গল্প-উপন্যাসে দেখা যায়। বাস্তবেই ব্যাপারটা করে দেখালেন লুইস সুয়ারেজ। দল যখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে, তখন নিজের বিশ্বকাপটাই উৎসর্গ করে দিলেন সুয়ারেজ। গোলকিপারের মতো হাত দিয়ে নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দিলেন।
পেনাল্টিতে উরুগুয়ের গোলরক্ষক সুযোগ কী কাজে লাগাবেন, শট নিতে এসে ঘানার আসামোয়া জিয়ান বল ক্রসবারে লাগিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াল, সেখানে উরুগুয়েরই জয়। বাজিটা জিতে গেলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ওই যে, নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়া!
সেমিফাইনালে নিশ্চিতভাবেই খেলা হচ্ছে না সুয়ারেজের। এখন ফিফা বলছে, নিষেধাজ্ঞা বাড়তেও পারে। গোললাইনে দাঁড়িয়ে এমন ইচ্ছাকৃতভাবে বল ঠেকিয়ে ফেলার শাস্তিটা আরও বড় হতে পারে। ফিফা মুখপাত্র পিকা ওড্রিওজোলা বলেন, ‘সরাসরি লাল কার্ড দেখলে এমনিতেই এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা থাকে। তবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি এখন এ ব্যাপারে একটা কেসও খুলেছে। তারা এখন ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।’
যদিও সুয়ারেজ আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বল ঠেকানোর কোনো বিকল্প ছিল না তাঁর কাছে। তিনি দলকে আরেকটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুয়ারেজের কোচ অস্কার তাবারেজ বলছিলেন, ‘পাপ’টা এত বড় কিছু না।
সুয়ারেজ ‘সহজাত প্রবণতা’ থেকেই বলটা হাত দিয়ে ঠেকিয়েছেন বলে দাবি তাবারেজের। এবং সে শাস্তি তো সুয়ারেজ পেয়েই গেছেন। তাবারেজের দাবি, সুয়ারেজকে অবশ্যই ফাইনালে খেলতে দেওয়া উচিত, যদি উরুগুয়ে ফাইনালে যায়। এখন যদি বাড়তি নিষেধাজ্ঞা পান, তাহলে ফাইনাল অথবা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচও মিস হয়ে যাবে উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের। মানে, তাঁর বিশ্বকাপই শেষ!
তা হলেও সুয়ারেজ নিশ্চয়ই দুঃখ করবেন না। কারণ ডিয়েগো ফোরলান তো বলেই দিয়েছেন, সুয়ারেজের কারণে তারা সেমিফাইনালে উঠেছে। বাকি কাজটা তারাই করার চেষ্টা করবে।

No comments

Powered by Blogger.