নিজেদের দোষেই বিদায়

চোখে-মুখে অবিশ্বাস ছিল তখনো, তবে এখন যদি ভিডিও দেখেন ইয়াকুবু আয়েগবেনি কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারবেন না তিনি আসলেই এমনটি করেছেন।
ম্যাচের বয়স তখন ৬৬ মিনিট। বাঁ দিক থেকে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন ইয়াকুবুর এক সতীর্থ, আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে পাস দেন ইয়াকুবুকে। গোল লাইন থেকে ইয়াকুবু তখন বড়জোর তিন-চার হাত দূরে, সামনে ফাঁকা গোলপোস্ট। ওই জায়গা থেকে বাইরে মারাটাই ছিল সবচেয়ে দুরূহ কাজ, কিন্তু ওই দুরূহ কাজটাই ‘দারুণ’ সাফল্যের সঙ্গে করলেন নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল, অথচ সঙ্গে সঙ্গেই কোচ তুলে নিলেন তাঁকে!
সবচেয়ে দৃষ্টিকটু বলেই এই মিসটার এমন বর্ণনা দেওয়া, ইয়াকুবু মিস করেছেন আরও। শুধু ইয়াকুবুই নয়, পুরো ম্যাচে নাইজেরিয়ানরা গোল মিস করেছেন অসংখ্য। প্রথম রাউন্ডেই বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যাওয়ায় নাইজেরিয়ান খেলোয়াড়েরা তাই দায়ী করতে পারেন নিজেদেরই। যেমন করেছেন ডিফেন্ডার যোসেফ ইয়োবো, ‘আমি স্রেফ বলতে পারি, আমরাই আমাদের হারিয়েছি। আমরা হাজারো সুযোগ সৃষ্টি করেছি, কোরিয়ানদের চেয়ে অনেক বেশি, কিন্তু সেই সুযোগগুলো নিজেরাই নিইনি।’ হতাশ নাইজেরিয়া কোচ লার্স লেজারব্যাক অবশ্য দায়ী মানছেন নিজেকেই, ‘আমি হতাশ, দলের জন্য এটা হতাশাজনক ফলাফল। আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। ফলাফলের জন্য আমিই দায়ী, আমিই গেম প্ল্যান করি, আমিই দলকে অনুশীলন করাই।’
পরশু প্রথমবারের মতো এই বিশ্বকাপে মাঠে নামা নোয়ানকো কানুর কণ্ঠে ছিল চূড়ান্ত হতাশা, ‘আমরা মোটেও খুশি নই, আর একটা গোল করতে পারলেই আমরা হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতাম।

No comments

Powered by Blogger.