আফজল গুরুর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার সুপারিশ

২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী মহম্মদ আফজাল বা আফজল গুরুর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করার জন্য রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাতিলের কাছে সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিকে ক্ষমা নয়।
২০০১ সালে লস্কর-ই-তাইয়েবা ও জইশে মুহাম্মদের জঙ্গিরা রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় ছয়জন নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন বেসামরিক নাগরিক মারা যান। ভারতের নিরাপত্তা কর্মীদের পাল্টা আক্রমণে পাঁচ সন্ত্রাসীও মারা যায়। এই হামলার পেছনে ছিল আফজল গুরুর হাত।
২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর দিল্লির নিম্ন আদালত আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশ দেন। এরপর দিল্লি হাইকোর্টে এ নিয়ে আপিল করা হলে হাইকোর্টও ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর এক আদেশে নিম্ন আদালতের ওই ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টও ২০০৫ সালের ৪ আগস্ট ফাঁসির আদেশই বহাল রাখেন।
এরপরই আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার দিন ঘোষণা করা হয় ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর। এর আগেই আফজলের স্ত্রী তারাসসুম প্রাণভিক্ষা চেয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলে মন্ত্রণালয় আফজল গুরুর আবেদন না-মঞ্জুর করার জন্য সুপারিশ করে।

No comments

Powered by Blogger.